এখানে আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দিন।

ঢাকা ০১ জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার

ব্রেকিং

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশর সকল জেলায় জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি পদে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ নিউজ সাইটের যোগাযোগ অংশে প্রদত্ত ঠিকানায় (ফোন, ইমেইল) যোগাযোগ করুন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৫, ১৩:১৩

আপডেট: ২৭ মে ২০২৫, ১৩:১৩

৬৫৭ ১৮

শেয়ার:

বাংলাদেশ ছাত্র-জনতা পার্টি নামক নতুন রাজনৈতিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

২৫ মে সোমবার মিরপুর ,২৪৭, আহমেদ নগরে, সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সংগঠনের মুখপাত্র ইন্জিনিয়ার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন এই কথা বলেন।

News

ইন্জিনিয়ার মো. বেলাল হোসেন বলেন,বাংলাদেশের আপাময়র জনতা ভাত, কাপড়, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের মৌলিক চাহিদা ও তাদের অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘকাল আন্দোলন ও সংগ্রাম করছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৬৬ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের ছাত্র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন। এ সকল অগ্নিপরীক্ষার চূড়ান্ত রূপ ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ- ৩০ লক্ষ বীর শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে এক অনন্য অর্জন, "বাঙালির স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ" প্রতিষ্ঠা।

তিনি বলেন,স্বাধীন বাংলাদেশে- স্বাধীনভাবে, নির্বিঘ্নে, নিরাপদে, স্বাচ্ছন্দ্যে- আনন্দে জীবনযাপন করা যায়নি- এমনকি নিজের ভোট নিজে দেওয়ার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট তৈরি করা যায়নি। ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাটের উৎসবের মধ্য দিয়ে-রাষ্ট্র চলমান এবং চলছে। এহেন অরাজক পরিস্থিতি ও বিড়ম্বনাকর অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রয়াসে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। জনতার পক্ষে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট থাকার পরেও জনতার অধিকার ক্ষমতা কর্তৃত্ব ও তাদের স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হয়নি বরং পেশী শক্তির রাজত্ব, ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে-জবর দখল করে ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাট এর মহা উৎসব দেশে চলমান অবস্থায়- শোষিত, লাঞ্ছিত, বিক্ষুব্ধ জনতার সুদীর্ঘকালের লড়াই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায়- সারা দেশে গণজাগরণ ও গণবিক্ষোভ তৈরি হয়েছে-তার সাথে "বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের" কোটা আন্দোলনের ঢেউ একাত্ম হয়ে-গণবিস্ফোরণের অগ্নিস্ফুলিংয়ে-ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন,আমরা বিশ্বাস করি, একটি ন্যায়সংগত সমাজ ও উন্নত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তাই, আমরা সকল নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাই-আসুন, আমরা একত্রিত হয়ে একটি সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল, বৈষম্যহীন এবং ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলি।তাই আজ বাংলাদেশ ছাত্র জনতা পার্টি অত্যন্ত গর্বের সাথে আত্মপ্রকাশ করছে। আমাদের দল একটি নতুন ধারার রাজনীতি গড়ে তোলার প্রত্যয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে শিক্ষা, ঐক্য, প্রগতি ও দ্বীনের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জাতি গঠন করা হবে। আমাদের মূল আদর্শ হলো "শিক্ষা, ঐক্য, প্রগতি, দ্বীন। আমরা বিশ্বাস করি, সুশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল ও নৈতিকতাপূর্ণ নেতৃত্বই পারে দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে।

আর্থ-সামাজিক  উন্নতির লক্ষ্যে নিম্নলিখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ও শাসন প্রতিষ্ঠায় করণীয় তুলে ধরলাম:-

১) ফেডারেল পদ্ধতির কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা।

২) নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ/ ন্যায়পাল সমন্বয়ে দেশের জাতীয় সংসদ (পার্লামেন্ট) হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট:

(ক) নিম্নকক্ষ হবে সকল আসন বিশিষ্ট: (নিম্নকক্ষে রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত এলাকাভিত্তিক নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকবেন)

খ) উচ্চকক্ষে/ ন্যায়পাল   আট বিভাগ থেকে আট জন সহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য বিশিষ্ট। (উচ্চকক্ষে থাকবেন শ্রম, কর্ম ও পেশায় নিয়োজিত শ্রমজীবী, কর্মজীবী, পেশাজীবী ব্যক্তিদের দ্বারা নির্দলীয় বা অদলীয় ভাবে নির্বাচিত সদস্য অথবা স্থান-কাল-পাত্র বেদে সর্বজনীন যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নাগরিকগণের মধ্য থেকে)

৩) বর্তমান বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল ও দলের নেতাকর্মীগনের সাথে আদর্শ ও মতাদর্শে ভিন্নতা থাকলেও আমাদের দল ও দলের নেতাকর্মীগণ দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে গবেষণামূলক বিনয়ি সম্পর্ক চলমান থাকবে ।

৪) বাংলাদেশকে ৭ টি অথবা ৯ টি প্রদেশে বিভক্তি করে দেশের সমস্ত অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগের সুযোগ তৈরি করা হবে, বাংলাদেশের কর্মক্ষম মানুষদেরকে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ করার জন্য প্রয়োজনীয় হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে, প্রাদেশিক বিভিন্ন তারিখে নির্বাচনের মাধ্যমে অধিকতর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থা করা হবে।

৫) শিক্ষার আধুনিকায়ন: মানসম্মত ও নৈতিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা সম্প্রসারণ এবং সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।

৬) দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, কৃষি ও প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা  যেমন প্রত্যেকটি গ্রামে রপ্তানি মুখী কৃষি শিল্প তৈরি করে উৎপাদিত পণ্য মাংস আন্তর্জাতিক মানের প্রক্রিয়াজাত করে বহি বিশ্বের রপ্তানিকরা হবে।

৭) স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা: সকল নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সেবার মানোন্নয়ন করা রাষ্ট্র সেবা নিয়ে নাগরিকের কাছে পৌঁছে করা হবে।

৮) সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা: দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠা, সকলের জন্য সমান আইনি অধিকার নিশ্চিত করা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হবে।

৯) ধর্মীয় ও সামাজিক ঐক্য: ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং সকল ধর্মের মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা ধর্ম যার যার উৎসব যার যার দেশ ও দেশের মানুষের শৃঙ্খলা মানবিকতা বজায় রাখার দায়িত্ব সবার।

১০) পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়ন প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, বনাঞ্চল সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। উজান থেকে আসা প্রত্যেকটা নদী গভীর খননের মাধ্যমে বর্ষাকালীন পানি যেন সহজেই সমুদ্রে পৌঁছে যেতে পারে এবং শীতকালীন সময়ে উক্ত পানি ধরে রেখে কৃষি উন্নয়নের ব্যবহার করা, আন্তর্জাতিক আইন মেনে গবেষণামূলক কূটনীতির মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে পানি চুক্তির মাধ্যমে  সীমান্ত থেকে এক কিলোমিটার দূরবর্তী বেড়িবাঁধ তৈরি করে  মৎস্য উৎপাদন,আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র,রাস্তার দুই পাশে সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন ,প্রত্যেকটি নদীর মুখে জলবিদ্যুৎ  উৎপাদনের মাধ্যমে চুক্তি অনুসারে এর সুফল গুলো দুই দেশের মধ্যেই আনুপাতিক হারে ভাগাভাগির মাধ্যমে নিকটবর্তী দেশসমূহের মধ্যে অর্থনৈতিক সামাজিক নিরাপত্তামূলক  চির উন্নত বিপ্লব ঘটে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি, বাস্তবায়ন করা হবে।

১১) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন: বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ গবেষণা মূলক আন্তর্জাতিক মানের কূটনীতি বজায় রাখা বাংলাদেশের সাথে আন্তর্জাতিক যে কোন চুক্তির বিষয়ে গণ মানুষের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য গণ শুনানির মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য মূলক মতামত গ্রহণ করা হবে।

১২) দলের মুখপাত্র হিসেবে আমি দাবি করছি বাংলাদেশের আটটি বিভাগ থেকে আটজন সহ তুলনামূলক সর্ব উচ্চ গ্রহণযোগ্য ও দক্ষ্য নাগরিকগণের মধ্য থেকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে বাস্তবায়ন করা হবে।

১০) আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবো না।

১৪) (৬৩ বছর) বয়স হলেই দলের পদ ছেড়ে উপদেষ্টা পদে কাজ করব, এই পদ্ধতি বাংলাদেশে অনন্য সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিষ্ঠিত করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

১৫) আমাদের দল কর্তৃক সব সময় সচেষ্ট থাকব যেন নারি ও শিশু সহ সকল প্রকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় । অস্বাভাবিক বা বিকলাঙ্গ যে কোন শিশু অথবা অক্ষম মানুষের দায়িত্ব রাষ্ট্রের রাষ্ট্রের কর্তব্য নিশ্চিত করতে হবে মানুষকে মানুষ হিসাবে মূল্যায়নের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করতে হবে পথ পদবীর মর্যাদায় নয় এই নিয়ম বাস্তবায়নকরা হবে।

১৬) আমাদের আদর্শ দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মুহাম্মদ (স) এর আদর্শ, যে আদর্শ পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের। জন্য নিরাপদ ও সুন্দর বাংলাদেশ হবে। যার আদর্শ কেয়ামতের আগ পর্যন্ত অন্য কোন মানুষ সমমর্যাদায় যেতে পারবে না। 

১৭) বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সাথে গবেষণা মূলক আন্তর্জাতিক মানের কূটনৈতিক সম্পর্ক চলমান থাকবে যুগ উপযোগী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তগুলো রাষ্ট্র সরকার রাজনৈতিক দলগুলো এবং দেশের সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা মতামতের আলোকে গণ শুনানোর মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে।

১৮) দেশের  সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে, প্রয়োজন হল, বিচার পুলিশ দুর্নীতি দম, ও নির্বাচন কমিশন উক্ত চারটি সংস্থাকে  উচ্চকক্ষে/ ন্যায়পাল  কমিটির মাধ্যমে স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে।

১৮) সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের যে সমস্ত অ্যাম্বেসি অফিস গুলো আছে সর্বোচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন ও নৈতিকতাবান ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্যতা সম্পন্ন করে দায়িত্বভার দেওয়া হবে যেন প্রবাসীরা তাদের অধিকার বুঝে পেতে পারে।


সংগঠন আত্মপ্রকাশ

মন্তব্য করুন-

বাংলাদেশর সকল জেলায় জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি পদে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ নিন্মোক্ত ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।

নাম: আহসান হাবিব সোহেল
মোবাইল: ০১৭১২২৩১৩৯০
ইমেইল: doinikvoreraloi@gmail.com