কুয়েত সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে গত ২ মে শুক্রবার বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে কুয়েতের হিজিলে ঈদ পরবর্তী মিলন মেলা উপলক্ষে, পিঠা উৎসব, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখের পান্তা ইলিশসহ বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রকমারি পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়, এ আয়োজনে কুয়েত অবস্থিত বাংলাদেশি অনেক পরিবারের মা ও বোনেরা অংশগ্রহণ করেন।
আলাউদ্দিন আলার সভাপতিত্বে,, জাহাঙ্গীর আলম ও তোফাজ্জেল হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল কুয়েতের সম্মানিত সভাপতি লুৎফর রহমান মুখাই আলি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হোসেন আহমেদ আজিজ, সেকান্দার আলী, মাকসুদুর রহমান,ফয়েজ কামাল,আতাউর গনি মামুন,, ডাক্তার মনির হোসেন, ,শাহ্ নেওয়াজ নজরুল, মুরাদুল হক চৌধুরী মুরাদ, আব্দুল আলিম, বেল্লাল উদ্দিন, সামসুল হক, নজরুল ইসলাম শাহীন, কামাল হোসেন, সহিদুল ইসলাম সহিদ, লুৎফর রহমান, সওকত হোসেন রাজু, আব্দুল মতিন আকন, শাহিন খান, শাহিন আকন, ফারুক আনন্দ, সাজ্জাদ নিয়াজী, ইদ্রিস আলী সোহাগ, মেহেদি হাসান, কামাল পাশা, মোহাম্মদ মেহেদী, এম এ কাদের, আবুল কাশেম, মো. লিটন, মো. শরিফসহ আরও অনেকে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন - বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল কুয়েতের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের নেতৃবৃন্দ, বাংলা প্রেসক্লাব কুয়েতের নেতৃবৃন্দ, কুয়েতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ, মিডিয়া অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ।
দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়,, বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন,, বাংলার মানুষের মন মাতানো বৈশাখী গান - এসো হে বৈশাখ এসো এসো, সহ দেশাত্মবোধক, বাউল গান, নিত্য সহ বিভিন্ন ধরনের গান পরিবেশন করা হয়,, মনে হয়েছিল যেন মরুর বুকে এক-টুকরো বাংলাদেশ।
অতিথিরা তাদের আলোচনায় এতো সুন্দর আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধারা যেন অব্যাহত থাকে সেই আশা ব্যক্ত করেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
তারপর পিঠা উৎসবে অংশ গ্রহণকারীদের কে প্রধান অতিথি পুরস্কার বিতরণ করেন। পরে অনুষ্ঠান শেষে নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়।