কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রাতে বসত গৃহে চুরির অপরাধে ৩ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
মোঃ কহিনুর ইসলাম ভূক্তভোগীর জামাই বাদী হয়ে ১) আব্দুল্লাহ (২৩), পিতা- মোঃ আব্দুল মোমিন,২) মোঃ আলিমুজ্জামান(২৪),পিতা-মোঃ শফিকুল ইসলাম,৩) মোঃ সাব্বির হোসেন (২১),পিতা-কামাল হোসেন,৪) মোহম্মদ আলী (৩৫),পিতা- মৃত আজিজুল হক সর্ব সাং যদুবয়রা,৫) মোঃ পিয়াস হোসেন স্নেহ(২১),পিতা-শহিদুল ইসলাম সাং হাসিমপুর,৬) মোছাঃ পাপিয়া খাতুন,স্বামী- খন্দকার লিটন মাহমুদ,উভয় সাং কাজীপাড়া, ৭) মোছাঃ জাহানারা বেগম (৩৮),স্বামী- মোঃ আব্দুল মোমিন সাং যদুবয়রা,সর্ব থানা কুমারখালী, জেলা- কুষ্টিয়া ৭ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে কুমারখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এজাহার সূত্রে জানা যায়,বাদীর শ্বশুর জাহিদ হোসেন বাবলু (৫২) পিতা-মৃত সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস যদুবয়রা, কুমারখালী, কুষ্টিয়া স্ব -পরিবারে ঢাকাতে বসবাস করেণ। মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে যাতায়াত করেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ৭ ঘটিকার সময় বাদীর শ্বাশুরী মোছাঃ ডলি খাতুন (৪৫) ঘরের দরজা ও গেটে তালা লাগাইয়া ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর বাদীর চাচা শ্বশুর মোঃ কায়েস উদ্দিন টুটুল (৩৮) পিতা- মোঃ সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস সাং যদুবয়রা,বাজারে যাওয়ার সময় ৬ ও ৭ নং আসামীকে বাদীর শ্বশুর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন।
ওই দিন বেলা ১টার সময় বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার সময় ১ নং থেকে ৫ নং আসামীসহ আরো অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে বাদীর শ্বশুর বাড়ির পাচিল টপকে বেড় হতে দেখেন। সাথে সাথে তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাদীর শ্বাশুরীকে ঘটনা জানান। ঘটনা শুনে বাদীর শ্বাশুরী ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় বাড়িতে চলে আসেন। বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখেন বারান্দার গ্রীল ও শ্বাশুরীর ঘরের দরজার তালা ভাঙ্গা। দ্রুত ঘরে ঢুকে দেখেন ষ্টীলের আলমারীর তালা ভাঙ্গা এবং আলমারিতে জমি বিক্রয়ের ২৯ লক্ষ টাকা ও বিভিন্ন স্বর্ণের অলঙ্কার যার আনুমানিক মূল্য ৯ লক্ষ টাকা উপরোক্ত আসামীদ্বয় চুরি করিয়াছে। এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় ৩৮০ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে,মামলা নং ০৮ ১৩?১১/২০২৪ ইং। এ ব্যপারে জানতে যদুবয়রাতে গেলে আসামী পক্ষের লোকজন ও গ্রামবাসী জানান,জাহিদ হোসেন বাবলু বাড়ি ছাড়া আর কোন জমি নাই। আর তিনি এতো টাকা পেলেন কোথা থেকে? এবং এতো টাকা ব্যাংকে না রেখে পরিত্যাক্ত বাড়িতে কেনই বা রাখলেন। আসলে তার কোন টাকা কিংবা সর্ণাংলঙ্কার কিছুই ছিলোনা। আমাদের ফাঁসাতে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। আমরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সঠিক বিচার চাই।