মালাইকা নয়, হৃতিকের শরীরই কেনো পছন্দ অর্জুনের ?

খুবই অবাক করা এক কাণ্ড! এতদিন ধরে মালাইকার প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে লম্বা সময় ধরে লিভ টুগেদার করেছেন। কিন্তু এখন কিনা হৃত্বিকের বাহুডোরে ধরা দিতে চান মালাইকা অরোরা'র সদ্য সাবেক অর্জুন কাপুর!

ছবি: ফাইল ছবি

তাও আবার হৃত্বিকের পেশিবহুল শরীর দেখেই একেবারে কন্ট্রোলের বাইরে অর্জুন! এটা কোনোগুঞ্জন নয়। বরং একথা সদ্যই নিজের মুখে স্বীকার করেছেন অর্জুন। লজ্জা ঝেড়ে স্পষ্টই অর্জুন বললেন, হৃত্বিকের শরীরের দেখলেই নাকি তার খুব লোভ হয়!

সদ্য প্রেম ভেঙেছে অর্জুন কাপুরের। মালাইকা আরোরা'র সঙ্গে প্রায় ছয় বছর সম্পর্কে থাকার পর হঠাৎই ছন্দপতন। একে অপরের বন্ধু হয়ে আছেন তারা, কিন্তু সম্পর্কে নেই। কী কারণে তাদের সম্পর্কে ছেদ, সেটা অবশ্য স্পষ্ট করে জানা যায়নি। প্রেম ভাঙার পর থেকেই নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছেন অর্জুন। এবার অর্জুন জানালেন কোনো নারী নয়, বলিউডের এক নায়ককে দেখে প্রায়ই তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন অর্জুন।

সম্প্রতি অর্জুনের ‘সিংহাম এগেইন’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ছবির প্রচারণায় এসে নিজের স্বপ্নের পুরুষের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন অর্জুন। বনি কাপুর তনয় জানান, ২০০৬ সালে হৃত্বিক  রোশনকে বড় পর্দায় দেখে তিনি তার প্রেম পড়ে যান! রীতিমতো লালায়িত হয়ে পড়েন! ২০০২ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় হৃত্বিক অভিনীত প্রথম ছবি ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’। প্রথম ছবিই হৃতিককে সুপারস্টারের তকমা দিয়েছিল। তারপর বাবা রাকেশ রোশনের পরিচালনায় যে কয়টি ছবি করছেন সব ক'টিই ‘হিট’। তবে অন্য পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলেই ব্যর্থতা গ্রাস করেছে তাকে। যদিও হৃত্বিকের রূপের ছটায় মজেছিলেন তরুণী থেকে বৃদ্ধা।

জানা যায়, হৃত্বিককে ‘গ্রিক দেবতা’র আখ্যা দেওয়া হয়। ভিন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলেই ব্যর্থতার ফাঁড়া কাটে ‘ধুম ৩’ এ অভিনয় করে। সেই ছবিতে তার চেহারা, চুলের ছাঁট সবেতেই অর্জুন এমন মুগ্ধ হন যে প্রায় প্রেমে পড়ে যান। অর্জুনের কথায় - আসলে ‘ধুম ৩’ দেখার পর আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল। যখন হৃত্বিককে দেখি মনে হয় দু'চোখ ভরে দেখতেই থাকি। কত বার যে দেখেছি ছবিটি। আমার জীবনের ক্রাশ তিনি। এককথায় হৃত্বিকের রূপের ছটায় অর্জুন যেনো পুরোই আপ্লুত।