মুটিয়ে গিয়েই কি গায়েব ছিলেন ইন্দ্রানী হালদার?

কলকাতার টিভি চ্যানেল জি বাংলায় দর্শকপ্রিয় শ্রীময়ী সিরিয়ালটি বন্ধ হওয়ার পর কেটেছে তিন বছর।

ছবি: অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার

কেনো এই তিন বছর ক্যামেরার সামনে আসেননি ইন্দ্রাণী হালদার ? তার  চেহারার সাম্প্রতিক এমন পরিবর্তন দেখে হতবাক সকলে! ছোটপর্দায় ইন্দ্রানী'র শেষ ধারাবাহিক শ্রীময়ী। এরপর পর্দায় তার একমাত্র উপস্থিতি জি ফাইভের ওয়েব সিরিজ ‘ছোটলোক’। এটিরও শ্যুটিং হয়েছে ২০২১ সালে। একই বছরের ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল শ্রীময়ী। এরপর প্রায় তিন বছর কেটে গেছে। ছোটপর্দা তো দূরে থাক, ক্যামেরার সামনেই এতদিন দেখা যায়নি জনপ্রিয় টলি অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারকে।

সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দ্রানী'র কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ার ফিসফাঁস চলছিল - কোথায় ইন্দ্রাণী হালদার ? এমন প্রশ্ন পিছু ধাওয়া করে বেরিয়েছে অনুরাগীদের। ইন্দ্রাণী যে শুধু অভিনয় থেকেই দূরে থেকেছেন, তা নয়। উল্লিখিত সময়ে কোনো সংবাদমাধ্যমও তার নাগাল পায়নি। লক্ষ্মীপুজো হোক বা সরস্বতী পুজো, কিংবা রথযাত্রা, ক্যামেরার সামনে অধরাই থেকেছেন তিনি। তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও থেকেছেন অন্তরালে।

অবশেষে ভাইফোঁটার আগের রাতে ধরা দিয়েছেন ইন্দ্রানী হালদার। ওই রাতে একটি স্টেজ শোতে অংশ নেন পঞ্চাশোর্ধ এই তারকা। সেখানে ইন্দ্রাণী হালদারকে দেখে চেনা দায়! মুটিয়ে গেছেন তিনি। এতদিন বয়স বাড়লেও ছিপছিপে চেহারা ধরে রেখেছিলেন ইন্দ্রাণী হালদার, নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে বরাবরই সচেতন তিনি। তাহলে হঠাৎ কী হল তার ? প্রিয় অভিনেত্রীর এমন দশা দেখে  শুরুতে ঘাবড়ে যান অনুরাগীরা। শুরুতে অনেকে ভাবেন এডিটিং এর বুঝি কারসাজি! আবার কারুর মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে কি এই কারণেই এতদিন অন্তরালে ছিলেন ইন্দ্রানী ?

ওই স্টেজ শো'র ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই স্পষ্ট হয় বিষয়টি। কেনো ইন্দ্রাণী হালদারের শারীরিক গঠনের এমন পরিবর্তন হলো ? গোয়েন্দা গিন্নী নিজেই সেই উত্তর দেন। সমাজ মাধ্যমে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'পিঠে ব্যথার কারণে আমি একবছর কোনও অনুষ্ঠান করিনি। বাইরে বেরোনো একদম বারণ করেছিল ডাক্তার, জিম তো দূর, কোনো রকম ব্যায়াম করাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওষুধ খেয়ে এখন আগের থেকে কিছুটা ঠিক আছি। ওষুধের কারণে আমার ওজন আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গেছে। তবে ওজন নিয়ে দয়া করে কেউ সমালোচনা করবেন না। আমি খুব ডিপ্রেসড হয়ে যাবো তাহলে। আশা করি সকলেই সেটা বুঝবেন। আমিও তো একজন মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিঠের যন্ত্রণায় কাতর ইন্দ্রাণী হালদার এতদিন রীতিমতো বেড রেস্টে ছিলেন। কোনো রকম ব্যায়াম বা শরীরিক কসরতের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ইন্দ্রানী'র। তাই শ্যুটিং ফ্লোর থেকেও দূরে রয়েছেন। ফেসবুকের ভাইরাল ভিডিওতে ইন্দ্রাণীকে আক্ষেপের সুরে জানাতে দেখা গেছে, বহুদিন আগেই ভাইকে হারিয়েছেন তিনি। তাই ভাইফোঁটা এলেই মন খারাপ হয়ে যায় তার। উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে থেকেই এক ভাইকে ডেকে নিয়ে ভাইফোঁটা স্পেশাল গানও গাইতে দেখা গেলো ইন্দ্রাণী হালদারকে।