এখানে আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দিন।

ঢাকা ২৩ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার

ব্রেকিং

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশর সকল জেলায় জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি পদে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ নিউজ সাইটের যোগাযোগ অংশে প্রদত্ত ঠিকানায় (ফোন, ইমেইল) যোগাযোগ করুন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৫৫

আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৫৫

৫১৭

শেয়ার:

"প্রধান শিক্ষক" পদে গেজেট বাস্তবায়নের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক গেজেট থেকে বাদপড়া প্রধান শিক্ষকদের "প্রধান শিক্ষক" পদে গেজেট বাস্তবায়নের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন।

News


বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে "বাংলাদেশ জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় গেজেট থেকে বাদপড়া প্রধান শিক্ষক ঐক্য জোট" এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

বংলাদেশ জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় গেজেট থেকে বাদপড়া প্রধান শিক্ষক ঐক্যের সভাপতি জনাব আলহাজ্ব খ. ম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনাব খায়রুল ইসলাম, সদস্য সচিব, বাংলাদেশ জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় গেজেট থেকে বাদপড়া প্রধান শিক্ষক ঐক্য জোট।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক গেজেট থেকে বাদপড়া শিক্ষকবৃন্দরা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করছি। নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু করছি। "শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড" আর শিক্ষার প্রথম শুর হলো প্রাথমিক শিক্ষা। আমরা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। বিগত সরকার প্রধান ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারী ঐতিহাসিক শিক্ষক সমাবেশের মাধ্যমে দেশের ২৬,১৯৩টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত ১,০৮,৭৭২ জন শিক্ষকের চাকুরী জাতীয়করণ করেন। জাতীয়করণকৃত প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের জন্য ১ জন প্রধান শিক্ষক ও ৪ জন সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টির ঘোষনা দেওয়া হয়। সেই ঘোষনা অনুসারে ২৬,১৯৩ টি বিদ্যালয়ের জন্য ২৬,১৯৩ টি প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে ১ম ধাপের-২২,৯৮১ জন শিক্ষকদের মধ্যে কিছু সংখ্যক প্রধান শিক্ষক-কে গেজেটে অর্ন্তভুক্ত করা হয় কিন্তু ১ম ধাপের বাকী শিক্ষকসহ ২য় ধাপের-২২৫২টি এবং ৩য় ধাপের-৯৬০টি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও "প্রধান শিক্ষক" পদে অদৃশ্য ইশারার কারনে শিক্ষক গেজেট থেকে "প্রধান শিক্ষক" পদটি স্থগিত রেখে সহকারী শিক্ষক হিসাবে গেজেট প্রকাশ করেন তাই বাদপড়া প্রধান শিক্ষকগণ বৈষম্যর শিকার হন।

শিক্ষকবৃন্দরা বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত সংখ্যা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত ১২/০৮/২০১৩ তারিখের ৩৮.০০৭.০১৫.০০০.০৩.০০.২০১৩-৩০০ নম্বর গেজেটে উল্লেখ আছে যে, "(ঘ) জাতীয়করণকৃত প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের জন্য ১ জন প্রধান শিক্ষক ও ৪ জন সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হইবে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের এইভাবে সৃজিত পদের বিপরীতে আত্তীকরণের পর অবশিষ্ট পদ নতুন নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হইবে।" অর্থাৎ "জাতীয়করণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক যে যে পদে কর্মরত ছিলেন, সেই শিক্ষককে সেই পদেই আত্তীকরণের পর অবশিষ্ট সৃষ্ট শূন্যপদ নতুন নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করিতে হইবে।"

শিক্ষকবৃন্দরা বলেন, প্রথম ধাপ অবশিষ্ট কমিউনিটি বিদ্যালয়, প্রথম ধাপ অবশিষ্ট রেজিষ্টার্ড বিদ্যালয়, দ্বিতীয় ধাপ- ১৭১৯টি বিদ্যালয়, তৃতীয় ধাপ- ৯৬০টি বিদ্যালয় শিক্ষক গেজেটের প্রাক্কালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান শিক্ষকের পদ চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রেরণ করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় উপজেলা শিক্ষা অফিস, জেলা শিক্ষা অফিসে প্রধান শিক্ষক চেয়ে তথ্য প্রেরণ করেন যাহার স্মারক নং- ৩৮.০৭.০১৫.০০০.১৬০০.২০১৩/১১৪৩ তারিখ: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তার ফলশ্রুতিতে জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের কর্মরত প্রধান শিক্ষকের নাম উল্লেখ পূর্বক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়- ১ শাখায় প্রেরণ করেন। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় সেই প্রধান শিক্ষকের পদ মনগড়াভাবে বাতিল করে সহকারি শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ৪ জনের নাম সহকারি শিক্ষক কর্মরত হিসেবে প্রেরণ করায় আমাদেরকে সহকারি হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে।

শিক্ষকবৃন্দরা আরো বলেন, বিগত সরকার প্রধান ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও নীতিমালা এবং পরিপত্র থাকা সত্ত্বেও উক্ত বিদ্যালয় যোগ্যতা সম্পূর্ণ কর্মরত "প্রধান শিক্ষক" যারা ছিলেন তাদেরকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশ-কে উপেক্ষা করে সহকারী শিক্ষক হিসাবে গেজেট প্রকাশ করেন এবং কর্মরত প্রধান শিক্ষকগণ বৈষম্যর শিকার হন। আমরা জাতীয়করণের পূর্বে তৎকালীন সময় সময় জারিকৃত গেজেট ও পরিপত্রের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এসএমসি কর্তৃক প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়ে মেধা, শ্রম ও দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেছি। উক্ত বিষয়টি অদৃশ্য ইশারার কারনে প্রধান শিক্ষক পদে গেজেট করা সম্ভব হয়নি। তাই প্রধান শিক্ষকগণ বৈষম্য শিকার হয় এবং প্রধান শিক্ষক পদে গেজেট ভূক্ত না হওয়ায় সংক্ষুব্দ প্রধান শিক্ষকগণ আদালতে দ্বারস্থ হয় এবং মাননীয় আদালত ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষকদের পক্ষে মামলার রায় প্রদান করেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও নীতিমালা এবং পরিপত্রের আলোকে "প্রধান শিক্ষক" পদে গেজেট পাওয়া আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৫ (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, প্রজাতন্ত্রের বেসামরিক কোনো পদে কর্মরত কোনো ব্যক্তিকে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর যথাযথ সুযোগ না দিয়ে চাকুরিচ্যুত বা অপসারণ করা বা তার পদাবনতি ঘটানো যাবে না।


প্রধান শিক্ষক

মন্তব্য করুন-

বাংলাদেশর সকল জেলায় জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি পদে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ নিন্মোক্ত ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।

নাম: আহসান হাবিব সোহেল
মোবাইল: ০১৭১২২৩১৩৯০
ইমেইল: doinikvoreraloi@gmail.com