শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম গ্রেডভুক্ত "জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর" (টেক) পদের "চুড়ান্ত ফলাফল" প্রকাশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার অভাব ও বিপিএসসির দীর্ঘসূত্রতায় সৃষ্ট নিয়োগ জটিলতার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছেন।
আজ বুধবার ২ অক্টোবর সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মৌখিক পরীক্ষার মোট ৭২০০ প্রার্থী ৩০৬১ পদের বিপরীতে অংশগ্রহণ করে। গত ১১ আগস্ট থেকে শুরু করে ২২ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি কর্ম কমিশন এর সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি দেওয়ার ফলে রাষ্ট্রের এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি আমাদের ৪/৫ দিন এর মধ্যে ফলাফল প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলেও আজ ও তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তারা তখন জানায় তাদের কাজ করার সুযোগ দিতে হবে, আমরা ফলাফল প্রস্তুতির জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছি প্রায় ১.৫ মাস। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্রের এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। নতুন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে ছাএদের তাজা রক্তের বিনিময়ে। বেকারদের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে নিয়োগকারী এই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়া জরুরী। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের অন্যতম একটি সংস্কার খাত শিক্ষা ব্যবস্থা। কারিগরি শিক্ষাকে বাঁচাতে হলে এবং প্রতিষ্ঠান গুলোতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য এই নিয়োগ নিষ্পত্তি হওয়া অত্যন্ত জরুরী। সেই সাথে নিয়োগের সকল ধাপ সুষ্টভাবে সম্পন্ন করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রত্যাশীদের দীর্ঘদিনের হতাশ্য, দুশ্চিন্তা ও বেকারত্বের হাত থেকে মুক্ত করে প্রায় ৭২০০ প্রার্থীর পরিবারকে অবর্ণনীয় কষ্ট থেকে বাঁচাতে এই নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কোন বিকল্প নেই।
আমরা সাধারণ প্রার্থীরা দীর্ঘদিন এই নিয়োগের বিরুদ্ধে নানান সময়ে চলা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ও ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে করতে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর প্রার্থীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এই মূহর্তে সরকার প্রধান এবং জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয় ফলাফল প্রকাশের জন্য সরকারী কর্ম কমিশনকে ইতিবাচক মতামত না পাঠালে ফলাফল প্রকাশ সম্ভব নয়।
বক্তারা আরও বলেন, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ধাপ হিসেবে লিখিত, মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে ফলাফল প্রকাশের জন্য আরেকটি ধাপ হিসেবে জীবন দিয়ে যোগ্য প্রমাণ করতে হয় তাহলে আমরা এই মূহুর্তে সেটি করতেও রাজি, তারপরও যেন আমাদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহোদয়সহ শিক্ষা উপদেষ্ট মহোদয় বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে আমাদের সমস্যার কথা বিস্তারিত ভাবে জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় আমরা জাতীয় প্রেসক্লাব এ সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজন করেছি এবং ফলাফল প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধ কর্মসূচি দিয়েছি।
অভিলম্বে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে আমাদের ফলাফল প্রকাশের জন্য কোন কার্যকরী প্রদক্ষেপ না নিলে আমরা রাজপথে আমাদের আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।