মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ২৬ নং মানিকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জাকারিয়া খানের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার, ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, জাকারিয়া খান বিদ্যালয়ে এবং তার বাড়িতে টিউশনের সময় প্রায়ই ছাত্রীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। কিছুদিন আগে তার অশালীন আচরণের কারণে ছাত্রী দুটি কান্নাকাটি করে পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
জাকারিয়া খান অভিযোগটি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, গ্রামের কিছু লোক তার সম্মানহানি করার জন্য এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এবং তাকে ও তার পরিবারকে হেয় করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করানোর জন্য অন্য শিক্ষার্থীদেরও ব্যবহার করা হয়েছে!
এ ব্যাপারে গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিক বিশ্বাস জানান, শুক্রবার সমাধানের জন্য একটি বৈঠক করার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত করব। যদি তদন্তে জাকারিয়া খান দোষী প্রমাণিত হন, তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আখতার জানিয়েছেন, “অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রমাণিত হলে শাস্তি দেওয়া হবে। তবে তদন্তের আগে জাকারিয়াকে অন্য স্কুলে বদলি করা হবে।” তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, তদন্ত চলাকালীন সময়ে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হবে এবং প্রয়োজন হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সাইফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন যে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে জাকারিয়া খানের সাময়িক বদলির সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।