জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র দুঃসময়ের ত্যাগী ও আপোষহীন বারবার নির্যাতিত একজন তৃণমূল রাজনৈতিক ব্যক্তি মোঃ আব্দুল মান্নান সরকার।
ময়মনসিংহ সদরের ১১নং ঘাগড়া ইউনিয়নের ভাটিঘাগড়া গ্রামের ভাটিপাড়া সরকার বাড়ির আলহাজ্ব ইদ্রিস আলী সরকারের পুত্র আঃ মান্নান সরকার ।
ব্যক্তিগত ভাবে তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ও ঘাগড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য এবং ঘাগড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র ৫নং ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া চূড়খাই বাজারের একজন আদর্শ ব্যবসায়ী হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে তার।
বিএনপি’র দুর্দিনে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
স্বৈরশাসক এরশাদ সরকার ও হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিলো অপরিসীম।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অপরিসীম ভূমিকা পালনকারী স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জিয়াউর রহমানে আদর্শে অনুপ্রাণিত ও বিএনপি’র নিবেদিত প্রাণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এই নেতা দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক ভাবে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন।
আঃ মান্নান সরকার বুক ভরা কষ্ট নিয়ে চোখের জ্বল ফেলে বড়ই আক্ষেপ করে বলেন,কি অপরাধ ছিলো আমার নিষ্পাপ সন্তানের ?
গত ১৮ই জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আমাকে ঘরে না পেয়ে আমার কলেজ পড়ুয়া নাবালক পুত্র মোজাহিদুল ইসলাম নাসিক’কে রাত ২টার সময় গভীর ঘুমে মগ্ন নিষ্পাপ সন্তানকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা।
তিনটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার দেখিয়ে ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিলো তখন।অমানবিক পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় ২০ দিন কারাভোগের পর ৬ই আগষ্ট কারাগার থেকে আমার সন্তান মুক্তি পায়।
বিনা অপরাধে মেধাবী শিক্ষার্থী গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এলাকায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝর ওঠেছিল তখন।
আজও সেই দুঃসহ স্মৃতি ভূলতে পারছে না আঃ মান্নানের পরিবারের লোকজন।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা জেলা বিএনপির সহসভাপতি হাফিজ উদ্দিন বলেন,পিতা রাজনীতি করার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীকে গভীর ঘুম থেকে তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা রাজনৈতিক ইতিহাসের লজ্জাজনক ঘটনা।
আমি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।পাশাপাশি স্বৈরশাসক হাসিনা সরকারের আমলে যারা এই নিরপরাধ ছেলেটিকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছিলো,তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।