সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এবং দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।তবে সুনামগঞ্জের সবকয়টি নদীর পানি বিপৎ সীমার নীচে।
কেবল সিলেটের সীমান্তবর্তী ভারতীয় সীমানার অমলসিদ পয়েন্ট থেকে ভাটির দিকে প্রবাহিত কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে। কিছু অংশ ঘেষে প্রবাহিত কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার পাঁচ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।কুশিয়ারার তীরবর্তী এলাকার বাড়ি-ঘর ডুবে যায় এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে এবং গ্রামীণ সড়ক ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।ফলে স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীসহ যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা জানান, সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় পানি ৭৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে যাচ্ছিল। এছাড়া ছাতকে সুরমা নদীর পানি ৩১ সেন্টিমিটার নীচে রয়েছে। যাদুকাটায় ১৫৭ সেন্টিমিটার নীচে। এছাড়া সীমান্তের পাটলাই ও চেলা নদীর পানিও বিপদ সীমার নীচে রয়েছে। কেবল সিলেটের সীমান্তবর্তী অমলসিদে কুশিয়ারা নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একারণে এই নদীর ভাটিতে শেরপুরে পানি বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে। তবে কুশিয়ারা’র ভাটির দিকে সুনামগঞ্জ অংশে পানি থেমন বাড়েনি।
পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে বুধবার রাতে দেওয়া তথ্যে সুনামগঞ্জের নাম ভুলে যুক্ত করা হয়েছে বললেন সুনামগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।
তিনি জানালেন, সুনামগঞ্জে বন্যার কোন আশংকা নেই। ভারতের ত্রিপুরার পানিতে সুনামগঞ্জ বন্যা কবলিত হবার আশংকা কম। গেল ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিও থেমন হয়নি জানিয়ে এই কর্মকর্তা জানালেন, সুনামগঞ্জে গেল ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ মিলি মিটার এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৯৩ মিলি মিটার বৃষ্টি