সাতক্ষীরা শহরের খুলনা মোড় হতে পলাশপোল স্কুল পর্যন্ত হাফ কিলোমিটার নিখুঁত সড়কের উপর সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগ শুধুমাত্র সিলকোড করার জন্য বরাদ্দ দেয় ৩২ লক্ষ টাকা। কিন্তু মাত্র কয়েকদিন যেতে না যেতে সমস্ত গুঁড়ি পাথর উঠে গেছে।
শহরে চলাচলরত শামিম আহসান, অলোক কুমার, আব্দুল জব্বারসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, মসৃণ এবং ভাল রাস্তার উপর কেন এভাবে এলোমেলো এবড়ো থাবড়ো এবং তাড়াহুড়ো করে এই জঘন্য কাজটি করা হয়েছে যা আননেছেছারি। রাস্তাটি কোন সংস্কারের দরকার ছিলনা। যে রাস্তায় কাজ করার দরকার যেমন সাতক্ষীরা মেডিকেল হতে শ্যামনগর পর্যন্ত যেখানে যানচলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সেখানে সড়কের কোন কাজ না করে শহরে ভাল রাস্তায় কাজ করে টাকা তছনছ ছাড়া জনগনের কোন উপকারে আসেনি। তারা আরও বলেন নিখুঁত রাস্তায় কার্পেটিং করে খারাপ অনেক বেশি খারাপ করা হয়েছে। এই রাস্তার কাজটি করতে বেশি হলে ৫/৭ লাখ টাকা খরচ হতে পারে অথচ এই কাজে ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এখানে টাকা হরি লুট হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
আমানউল্লাহ নামের শহরের এক বাসিন্দা বলেন, সম্ভবত ৩ আগস্ট তারিখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলন চলাকালিন সকালে হটাৎ রাস্তাটি বন্দ করে দিয়ে সুন্দর রাস্তাটি অসুন্দর করা হয়েছে যেখান দিয়ে চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ বলেন, কাজটি নিয়ে শুধু জনগণ না আমিও বিব্রত। কারন বিগত নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শফিকুজ্জামান টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে গিয়েছিল আমি নতুন এসেছি। আসলে ভাল কাজ করতে হলে ভাল মানের মালামাল প্রয়োজন এবং সড়কের উপর এ জাতীয় কাজ করতে দুই ইঞ্চি সিলকোড করলে ভাল হতো আর এখানে করা হয়েছে মাত্র ১৫ মিলি তাহলে কিভাবে ভাল কাজ আশাকরা যায়? তাছাড়া এই কাজের থিকনেস ভাল দেওয়া হয়নি। এছাড়া অতি বৃষ্টির কারনে গুঁড়ি পাথর জমাট বাধতে পারেনি একারনে পাথর উঠে গেছে। আমি ঠিকাদার মেসাস্ সাদিয়া এন্টার প্রাইজকে চিঠি দিয়েছি পুনরায় কাজ করার জন্য। তারা ইতিমধ্যে মালামালও ক্রয় করেছেন প্রচুর বৃষ্টির কারনে কাজ শুরু করতে পারছে না।
এ বিষয়ে ঠিকাদার সাইদুল রাশেদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে বারবার কল করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।