নারায়ণগঞ্জ আড়াই হাজারের ৫৫২ নম্বর রোকন উদ্দিন মোল্লা কলেজ কেন্দ্রে হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে মোবাইলে নকল সরবরাহ, বিশেষ বেঞ্চে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আড়াই হাজারের ৫৫২ নম্বর রোকন উদ্দিন মোল্লা কলেজ কেন্দ্রে অধ্যক্ষ মোঃ আক্তারুজ্জামান, সরকারি সফর আলী কলেজের ভিপি এবং ছাত্র লীগের সভাপতি সহ অনেকেই নকল সরবরাহে ব্যস্ত ছিলেন ইতোমধ্যে সাবেক হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু চলে এসেই দেখতে পান কেন্দ্রের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এডিসি শিক্ষা, এবং ঢাকা বোর্ড থেকে আগত ৪ সদস্যের একটি টিম রয়েছে, অন্য দিকে নকল দেওয়ার জন্য কলেজের পিছনের বাড়ীতে ও সামনের বাসায় নকল সরবরাহের জন্য ব্যাপক আয়োজনের ব্যবস্থা ছিল, বেগতিক অবস্থা দেখে স্কুল কমিটির মিটিং থাকার পরও কলেজ গেইটে দাড়িয়ে থেকে চলে যান সাবেক হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু। নকল দেওয়ার অপেক্ষায় কলেজের একটু দূরে অপেক্ষায় ছিলেন অধ্যক্ষ মোঃ আক্তারুজ্জামান, অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর ও বাবু কলেজের শিক্ষক মুরাদ এবং দেলোয়ারের নেতৃত্বে ৭-৮ জন।
বরখাস্ত কৃত ছাত্রী ফারিয়া খন্দকার রোল ৫০০১৬৩ সহ কলেজের ৩ জন ছাত্রী জানান- গত কয়েক মাস পূর্বে কলেজের একটি মিটিংয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলার সিদ্ধান্ত হয়। গ্রুপটি বাবু কলেজের প্রভাষক দেলোয়ারের নামে, রোকনউদ্দিন মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আক্তারুজ্জামান স্যার গ্রুপ খুলে দিয়েছেন।
এই গ্রুপে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশ্ন পাওয়ার পর শিক্ষক দেলোয়ার এবং অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামানের মোবাইলে পাঠাতেন। সেন্টার হাসপাতালের পাশে বসে উত্তর রেডি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দিলে বাবু কলেজের সকল পরীক্ষার্থীদের এবং আক্তারুজ্জামান স্যারের মোবাইল চলে যেত। এই কাজের জন্য কেন্দ্র কন্টোল এবং আক্তারুজ্জামান স্যারের জন্য ৪৩১ জন ছাত্র/ ছাত্রীদের থেকে এক জন ছাত্র প্রতি ২০০০/- (দুই হাজার) টাকা করে নেয়া হয়েছে।
প্রথম পরীক্ষার দিন বাবু কলেজের অধ্যক্ষ পরীক্ষার হলে রুমে রুমে গিয়ে বলে আসছেন, তোমরা মোবাইল দেখে দেখে লিখবা কোন সমস্যা নেই, এ কথা বিদায় অনুষ্ঠানে কলেজের সভাপতি মহোদয় ও বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, তোমরা মোবাইল দেখে দেখে লিখবা কোন সমস্যা হবে না। এখন সমস্যা কেন? তোমাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরি বাবু কলেজের ব্যাঞ্চে পরীক্ষা দিবে। এটা তো বাবু স্যারের কলেজ।
বোর্ডের টিম বহু নকল ও মোবাইল পেয়ে নকল ও মোবাইল নিয়ে সরকারি সফর আলী কলেজে চলে যান।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমান সহ ৬ জন কক্ষ প্রত্যাবক্ষকের থেকে এডিসি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখিত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
মামলা করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় অধ্যক্ষ মোঃ আক্তারুজ্জামান, অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর, প্রভাষক দেলোয়ার, শিক্ষক মুরাদসহ সবাই আত্মগোপনে চলে গেছেন।