আমাদের অনেকেরই তৈলাক্ত ত্বক। আর যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারা সবসময় ত্বক নিয়ে নাজেহাল অবস্থায় থাকেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখেন যে নাকের দু’পাশ দিয়ে তেলতেলে হয়ে রয়েছে।
পাশাপাশি ব্রণের সমস্যা লেগেই রয়েছে। বৃষ্টির মৌসুম হলেও পরিবেশে আর্দ্রতা রয়েছে বেশ ভালই। আর এই কারণে রাস্তায় এক ঘণ্টার জন্য বের হলেও ত্বক আরও বেশি তেলতেলে ও কালচে দেখায়। মূলত এই কারণেই অনেকেই ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে চান না। তাছাড়া বেশিরভাগ অয়েলি স্কিনের ব্যক্তিদের ধারণা যে, তাদের ত্বকে ময়েশ্চারাইজ়ারের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এটা তাদের সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন, সব ধরনের ত্বকের জন্যই ময়েশ্চারাইজ়ার প্রয়োজন। ত্বক পরিষ্কার করার পর টোনার ও ময়েশ্চারাইজ়ার অবশ্যই ব্যবহার করতে হয়। এটা তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। কারণ ত্বকেরও হাইড্রেশন জরুরি। হাইড্রেশনের এই কাজটাই করে ময়েশ্চারাইজ়ার। আসলে বেশিরভাগ তৈলাক্ত ত্বকের ব্যক্তির ধারণা যে ময়েশ্চারাইজ়ারের কারণে ত্বক আরও বেশি তেলতেলে হয়ে যায়। এর কারণ হলো - আপনি আপনার ত্বকের জন্য সঠিক ময়েশ্চারাইজ়ার বেছে নেননি। আপনার যদি অয়েলি স্কিন হয় এবং আপনিও যদি এই তেলতেলে মুখের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে দেখে নিন কী ধরনের ময়েশ্চারাইজ়ার আপনার ব্যবহার করা উচিত।
#আপনার যদি অয়েলি স্কিন হয়ে থাকে তাহলে ময়েশ্চারাইজ়ার কেনার সময় কিছু জিনিসের খেয়াল রাখুন। আপনি ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ত্বককে অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব হওয়া থেকে মুক্ত রাখবে। পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।
#বাজারে এখন নামী - দামি ব্র্যান্ডের অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজ়ারও পাওয়া যায়। এগুলো ত্বককে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। এতে আপনার ত্বকে একটি ম্যাটিফাইং লুক আসে। পাশাপাশি ব্রণের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এই অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজ়ার।
#এখন নানা ধরনের অ্যাসিড প্রসাধনী পণ্যে ব্যবহার করা হয়। এগুলো ত্বকের জন্য উপকারী। তেমনই তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ল্যাকটিক অ্যাসিড বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ভীষণ কার্যকর। এগুলো আসলে ওয়াটার বেসড আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড। এগুলো ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ও ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। ময়েশ্চারাইজ়ার হিসেবে আপনি এগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।