বাড়তি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় শত কোটি হাতিয়ে নিয়েও শেষ রক্ষা পেলেন না প্রগতি এনজিও পরিচালক প্রণনাথ দাস।
পালিয়ে গিয়ে ভারতে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর দেশে ফিরেই আজ শনিবার সকালে তার নিজ বাড়ি শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আবারো গ্রেপ্তার হয়েছেন। এদিকে, বিক্ষুদ্ধ আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় থানার সামনে ভিড় করছেন।
জানা যায়, অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে সাতক্ষীরা ও তার আশেপাশের জেলার সহজ সরল নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাজার হাজার মানুষের ভুল বুঝিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রায় শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় শহরের কামালনগর এলাকার প্রগতি নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালক প্রানাথ দাস। শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় মন্দিরের পাশে রয়েছে তার আলিশান বাড়ি। সেখানে তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। কিন্তু গত বছরের শেষ দিকে এসে গ্রাহকদের আমানতের টাকা ও লভ্যাংশ ফেরত দিতে প্রাণনাথ গড়িমোশি শুরু করেন এবং তিনি আত্মগোপনে চলে যান। কোন উপায় না পেয়ে আমানত কারীদের কেউ কেউ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাননি। একপর্যায়ে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর শত শত গ্রাহক প্রগতি কার্যালয়ে এসে দেখেন অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে অফিসটি। তার বাড়িতেও তালা মারা অবস্থায় দেখতে পেয়ে গ্রহকদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ নেমে আসে। গ্রহকরা তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবীতে বিক্ষোভও করেন। এরই মধ্যে চলতি বছরের ১৯ মার্চ ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা এলাকা থেকে সে দেশের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। এরপর সেখানে কয়েকমাস কারাভোগের পর দেশে ফিরে আজ সকালে সদর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার কিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।