সাতক্ষীরা সিটি কলেজে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভ্রান্তির জবাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন নতুন সভাপতি কবির হোসেন মিলন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ সম্মেলন কক্ষে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। পরে সাতক্ষীরা সিটি কলেজে সভাপতি পদে আসীন হওয়া নিয়ে সমালোচনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে কবির হোসেন মিলন বলেন, ২০০৮ সালে তার পিতা এই কলেজে চাকুরিরত অবস্থায় মারা যান। এরপর সেই স্থানে মাস্টাররোলে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০২১ সালে তিনি আগরদাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
কবির হোসেন মিলন অভিযোগ করে বলেন, একটি পত্রিকায় রিপোর্ট করেছে তিনি কর্মরত অবস্থায় কলেজটির সভাপতি হয়েছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারন গত ৯ জানুয়ারি তিনি কলেজটির অফিস সহায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এসময় তিনি এর স্বপক্ষে কাগজপত্র দেখান। দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তোলা আইনগতভাবে সিদ্ধ হলেও পত্রিকাটি তা না জেনে ভুলভাল রিপোর্ট তৈরী করে। প্রমানস্বরুপ এর স্বপক্ষেও বেতন বইয়ের রশিদ দেখিয়ে তিনি বলেন, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের পর থেকে তিনি কোন বেতন তোলেননি। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের পরামর্শে তিনি ওই টাকা উত্তোলন করে ইউনিয়ন পরিষদের একাউন্টে জমা দেন এবং তা দিয়ে দুঃস্থ মানুষদের সাহায্য করেন।
একটি পক্ষ তার সভাপতি পদ রুখতে বিভিন্ন অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা সাংবাদিক সহ সকালের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এতদিন যারা কলেজের টাকা লুটেপুটে খেয়েছে মুখোশ উন্মোচনের ভায়ে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
সদ্য দায়িত্বভার গ্রহণ করা সভাপতি কবির হোসেন মিলন বলেন, সাতক্ষীরা সিটি কলেজে সকল দূর্নীতি বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করাহবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সাতক্ষীরা সিটি কলেজে সভাপতির পদ নিয়ে কয়েকদিন আগে একটি পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হয়। এরই জের ধরে আজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন নতুন সভাপতি কবির হোসেন মিলন।