নাগরিক জীবনে স্থূলতা কাটিয়ে স্লিম ফিগার থাকা প্রতিটি নারীর কাম্য। আর স্লিম থাকা নিয়ে সুন্দরীদের যেনো চিন্তার অন্ত নেই, বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি। এরা খেতে গেলেই অনেক কিছু ভাবেন। কেউ কেউ মনে করেন, পরিমাণে কম খেলেই বুঝি স্লিম অর্থাৎ রোগা হওয়া সম্ভব।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, না খেয়ে বা কম খেয়ে পেট খালি রাখলেই বুঝি স্লিম হওয়া যায় - এটা অনেকেরই ভাবনা। অথচ এভাবে কষ্ট না করলেও যে ওজন ঝরানো যায়, তা অধিকাংশ মানুষই মানতে চান না। মনে করেন, ব্যায়াম - ডায়েটসহ আরও কত কিছু মানতে হবে, আর তাতেই পাওয়া যাবে স্লিম ফিগার। এমনটা যারে ভাবেন, তাদের ধারণা কিন্তু সঠিক নয়। বরং পরিমাণমতো খেয়েও দিব্যি স্লিম হওয়া যায়। এক্ষেত্রে একটু ভেবেচিন্তে খাওয়া দাওয়া করেন, তবেই তা সম্ভব। এতে অবশ্য কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
খনিজ পদার্থে ভরপুর যে সব খাবার, সেগুলো খাবেন। ফল, শাক - সবজি, বাদাম বেশি করে খাওয়া জরুরি। এই ধরনের খাবারের পুষ্টিগুণ বেশি, কিন্তু ক্যালরি থাকে কম। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা মারাত্মক হয় না।
মনে রাখতে হবে - খাবারের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, বেশি চিনি খাওয়া চলবে না। কারণ, সামান্য পরিমাণ চিনিও দ্রুত বাড়াতে পারে ওজন। এর সঙ্গে এটা ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে। যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন খাওয়া খুব জরুরি। তাতে পেশির শক্তি বাড়ে। তাই তিন বেলা কিছুটা করে প্রোটিন খাওয়া গেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। তাতে কাজের ফাঁকে অস্বাস্থ্যকর তেলে ভাজা খাবারের প্রতি টানও কমতে থাকে।
আরেকটি জরুরী বিষয় - কাজের মাঝে শরীরচর্চার সময় যদি না পান, তাহলে এমন কিছু ঘরের কাজ করা যেতে পারে, যাতে হাঁটাচলা বেশি হবে। এক্ষেত্রে ঘর পরিষ্কার করা, কাপড় কাচা, রান্নাবান্নার মতো কাজ বেশি করে বেছে নিন। কিংবা অফিস থেকে ফেরার পথে এক বা দেড় কিলোমিটার হেঁটে বাসায় ফিরুন। তাহলে আর কম খেয়ে কষ্ট করে স্লিম হতে হবে না।