ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের একটি পাড়া জেলে পল্লী। যেখানে ১৫/২০টি পরিবারের বসবাস। জেলেদের জীবন অধিকৃত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত। গড়সংখ্যায় তাদের শিক্ষার হারও নিম্নমুখী।
খালবিল শুকিয়ে যাওয়ায় বছরের অধিকাংশ সময় প্রধান পেশা মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বর্তমানে আয়-রোজগার তেমনটি নেই। এ কারণে সংসার চালাতে কিংবা পরিবারের সদস্যদের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দিতে নিদারুণ কষ্ঠে কাটছে তাদের জীবন। তবে এ দুঃখ দেখার কেউ নেই। উপজেলার ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের সমাজসেবক ও প্রভাষক উজ্জল আলী লোকমুখে শুনেছে জেলে পল্লীর কয়েকটি পরিবার ভালো নেই।
এমন কষ্ঠের কথা শুনে সোমবার(১১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় ছুটে গেছেন জেলে পল্লীতে। ঘন্টাখানেক সেখানে সময় অতিবাহিত করে জেলেদের সুখ-দুঃখের কথা শুনছেন। তারপর তাৎক্ষনিকভাবে “অবিরাম উন্নয়ন বাংলাদেশ” সংগঠনের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৭টি পরিবারকে নগদ অর্থ সহযোগিতা করেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমার কোন রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির মোহ নেই। আমার উর্পাজিত অর্থের কিছু অংশ পরকালের সম্পদ জমা হিসাবে আমি সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করি। যতদিন বেঁচে আছি আমি এই মানবিক কাজ করে যাবো। বিশেষ করে জেলে পল্লীর কোন ছেলেমেয়ে অর্থের কারণে পড়াশোনা থেকে ঝরে না পড়ে সে বিষয়ে আমি তৎপর। আমি চাই সারুটিয়া ইউনিয়নের সকল মানুষ দুমুঠো ভাত খেয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করুক। এসময় অবিরাম উন্নয়ন বাংলাদেশ সংগঠনের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।