মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধের মধ্যেই বুধবার, ১৮ অক্টোবর ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন । মঙ্গলবার,১৭ অক্টোবর ভোরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন তেল আবিব থেকে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ব্লিনকেন বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ডের এই সফর ইসরায়েল, মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এসেছে।
ইসরায়েল ও হামাসের স্বাধীনতাকামীদের মধ্যে যুদ্ধের ১১ দিন চলছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত চার হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪০০ ইসরায়েলি এবং ২৭৫০ জন ফিলিস্তিনি রয়েছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত চার দিন ধরে মধ্যপ্রাচ্য চষে বেড়াচ্ছেন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর তিনি আরব বিশ্বের ছয় দেশ জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং মিসর সফর করেছেন। এই সফর শেষে সোমবার ইসরায়েলে ফিরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠক করেছেন তিনি।
তার এই সফরের উদ্দেশ্য গাজার বেসামরিক নাগরিকদের কীভাবে সর্বোত্তম মানবিক সহায়তা এবং বিদেশি নাগরিকদের চলে যেতে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আরব বিশ্বের চিন্তা-ভাবনা শোনা, জানা এবং আলোচনা করা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটি এই অঞ্চলকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বার্তা জানিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সাজানো হয়। সেই বার্তাটি হল, হামাসের প্রতি ইরানের সমর্থনে বাধা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠীকে দীর্ঘদিন ধরে ইরান অর্থ এবং অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র্র ইরানের এই সহায়তা ঠেকাতে চায়।
সফর শেষে সোমবার ইসরায়েলে ফিরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন ব্লিনকেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতি, নিজেকে এবং তার জনগণকে রক্ষা করার বাধ্যবাধকতা বোঝে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল এই কাজে সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাবে।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন হামাসের ‘সন্ত্রাসবাদ থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য ইসরায়েলের অধিকারের’ প্রতি তার দৃঢ় সমর্থনের ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য যে ধরনের সহায়তা প্রয়োজন ইসরায়েলি সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র তা দেবে বলে ওয়াশিংটনের অঙ্গীকারের পুনরাবৃত্তি করেছেন তিনি।