বরগুনা থেকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে (কারাগার) নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের চোখ ফাকিঁ দিয়ে সম্প্রতি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়া এক কিশোর আসামী বিআরটিসি বাসের জানালা থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। বামনা থানা পুলিশ তিন ঘন্টা সাড়াশি অভিযান চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া আসামীকে ধরতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতার কৃত আসামী মো.মাহমুদ (১৬) বামনা উপজেলার নিজ আমতলী গ্রামের স্বপন জমাদ্দারের ছেলে।
মঙ্গবার, ১১ জুলাই বামনা-ঢাকা মহাসড়কের তুলাতলা নামক বাজার এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সোনাখালী বাজার এলাকা থেকে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে বামনা থানাপুলিশ।
জানাগেছে, গত ৮ জুলাই বামনা থানাপুলিশ নিজ আমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই কিশোরসহ মো. নাজমুল ইসলামকে (৩২) ১৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার হয়।
তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে বরগুনা কোর্টে পাঠানো হয়েছিল। পরে বিজ্ঞ আদালত কিশোর মাহমুদ ও জনিকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে (কারাগার) পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে এএসআই মাহবুব ও প্রণব নামের বরগুনা জেল পুলিশের দুই সদস্য ওই দুই কিশোর আসামিকে নিয়ে জেলা কারাগার থেকে বিআরটিসি বাসে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে (কারাগার) নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হয়।
পথে বাসটি বামনার তুলাতলা বাজারে যাত্রী ওঠানোর জন্য থামালে গাড়ির জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালিয়ে যায় মাহমুদ। এসময় পুলিশ সদস্য প্রণব লাফিয়ে পরে তাকে ধরার চেষ্টা করেও ধরতে সক্ষম হয়নি।
পরে বামনা থানা পুলিশ খবর পেয়ে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মাইনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। চার ঘন্টা সাড়াশি অভিযান চালিয়ে উপজেলার সোনাখালী গ্রাম থেকে পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মাইনুল ইসলাম বলেন,আসামি পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সাথে সাথেই ওই এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালানো হয়। চার ঘন্টার চেস্টায় আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী কিশোর হওয়ায় তাকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে (কারাগার) পাঠানো হয়েছে।