ফেসবুকে ছবি দেওয়াকে কেন্দ্র করে আসামী মোঃ ওবাইদুল ইমন (১৯), এর সহিত বাদীর বড় ছেলে তানজিল এর বিরোধ সৃষ্টি হয়। উক্ত বিরোধের জের ধরে এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে বাদীর বড় ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
বাদীর বড় ছেলে ভিকটিম তানজিল শেখ (১৯) ইং ২০/০৫/২০২৩ তারিখ দুপুরে কুমারখালী থানাধীন পান্টি হাই স্কুলের পাশে জনৈক সোহাগ এর বিদ্যাভবন কোচিং এ প্রাইভটে পড়া শেষে ইং-২০/০৫/২০২৩ তারিখ দুপুর অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় কুমারখালী থানাধীন পান্টি হাই স্কুল মাঠে পৌঁছানো মাত্রই পূর্ব থেকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া থাকা এজাহার নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পতিভাবে একই (হত্যা) উদ্দেশ্যে ঘিরে ধরে। এই সময় আসামী মোঃ ওবাইদুল ইমন তার হাতে থাকা ডেগার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর বড় ছেলে তানজিল এর বুকের মাঝামাঝি বাম পাশে আঘাত করলে বাদীর বড় ছেলে চিৎকার করে উঠে। তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসার পূর্বেই এজাহার নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা বাদীর বড় ছেলেকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ২২/০৫/২০২৩ তারিখ বাদী কুমারখালী থানায় হাজির হয়ে লিখিতভাবে এজাহার দায়ের করিলে কুমারখালী থানার মামলা নং-২৪, তারিখ- ২২/০৫/ ২০২৩ খ্রিঃ ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
জনাব মোঃ খাইরুল আলম, সুযোগ্য পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া মহোদয়ের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে কুমারখালী থানা পুলিশ ২৪/০৫/২০২৩ তারিখে এজাহার নামীয় আসামী মোঃ ওবাইদুল ইমন (১৯), পিতা-মোঃ মিলন হোসেন, গ্রাম- পান্টি, থানা- কুমারখালী, জেলা-কুষ্টিয়াকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আসামীর স্বীকারোক্তি দেখানো মতে কুমারখালী থানা পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে।