আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এলাকায় গিয়ে নেতাদের জনসংযোগের নির্দেশনা দিয়েছেন । পাশাপাশি নিজেরা নিজেরা যেন কোনো রকম কাদা ছোড়াছুড়ি না করে, সে বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কাদা ছোড়াছুড়ি করে কোনো লাভ নেই, নমিনেশন তো আমি দেবো।বুধবার, ১৯ এপ্রিল বেলা ১১টায় ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে মোবাইলে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ ঢাকা মহানগরের (উত্তর-দক্ষিণ) সব সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভা শেষে সভানেত্রীর কাছে মুঠোফোনে রিপোর্ট পেশ করা হয়। এসময় অপর পাশ থেকে শেখ হাসিনা বলেন, তোমাদের তো দেখা যায় না, ক্যামেরা কই? পরে সভানেত্রীকে ভিডিও কলে যুক্ত করলে ঘরভর্তি নেতাকর্মীর মাঝে যেন ঈদের আগাম উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সমস্বরে সবাই বলেন, ‘ঈদ মোবারক, আপা’।
এসময় নেতাদের শেখ হাসিনা বলেন, এলাকায় গিয়ে সবাই মিলেমিশে ঈদ করো, মানুষের খোঁজখবর নাও। আমরা যাদের ঘর দিয়েছি তারা কেমন আছে জিজ্ঞেস করো। সবার বাড়ির আঙ্গিনায় যেটুকু খালি জায়গা আছে গাছপালা, শাক-সবজি লাগাতে বলো। একই সঙ্গে বিএনপির অপপ্রচার, বিশৃঙ্খলা, অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক থাকতে বলো। আর নিজেরা নিজেরা যেন কোনো রকম কাদা ছোড়াছুড়ি না করে, এতে কোনো লাভ নেই, নমিনেশন তো আমি দেবো।
শেষ দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বাড়ি গিয়ে গাছ লাগাবে, কৃষকের ধান কেটে দেবে, আর সাবধান! হেলমেট ছাড়া কেউ মোটরসাইকেলে উঠবে না...।
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্ল্যাহ, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, সহ-কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।