“স্বাধীনতা স্বপক্ষের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশের উন্নয়নে কাজ করেন আর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বার বার টেনে নামান। এযেন তৈলাক্ত বাঁশে বানরের উঠানামার মতো ঘটনা।
মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উপরে উঠায় আর ওনারা টেনে নীচে নামায়। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি ।
শিক্ষা মস্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান শিক্ষাক্রম হচ্ছে সৃজনশীল, মানবিক, চিন্তাশীল ও যোগাযোগ নির্ভর। ফলে বর্তমান প্রজন্মকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাদের মগজ ধোলাই করার দিন শেষ। তবে মহল পাঠ্য বই নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
যাঁরা পাঠ্যবই নিয়ে বলছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য যদি সৎ হতো,তাহলে নিশ্চয় তাঁরা মিথ্যার আশ্রয় নিতেন না। এডিটিং করে গুজব ছাড়াতেন না। যারা গুজব ছড়ায় এরা কারা?
এরাই তারা- যারা চুয়ান্ন (১৯৫৪) সালে বলেছিল, নৌকায় ভোট দিলে বিবি তালাক হয়ে যাবে। গত পঞ্চাশ বছরেতো কারো বিবি তালাক হয়নি ! এরাই তারা, যারা নব্বইয়ের দশকে বলেছিল, নৌকায় ভোট দিলে ফেনী পর্যন্ত ভারতের অংশ হয়ে যাবে, মসজিদে মসজিদে উলুধ্বনি হবে। এর কোনোটিই কিন্তু ঘটেনি। বরং বঙ্গবন্ধুর তনয়া মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ কে ডিজিটাল করে স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।’
৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন (কুমিল্লা-০৩) মুরাদনগর আসনের সংসদ সদস্য ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এফসিএ।
প্রাক্তন ছাত্র মো. ফরিদ উদ্দিন সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব (সচিব) মো. জয়নাল আবেদীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর মুসলেহ উদ্দিন সরকার। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, ড. হেলাল উদ্দিন এনডিসি, প্রফেসর ড. জামাল নাছের, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবদুর রাজ্জাক,কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ম.রুহুল আমিন প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে বিদ্যালয়ের সাবেক পাচঁ শিক্ষকের হাতে সম্মাননা তুলেদেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এম.পি। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিকাল ৪টায় শুরু হলে হাসি গানে মুখরিত হয়ে উঠে স্কুল প্রাঙ্গণ। এতে সংঙ্গীত পরিবেশন করেন, দেশের জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী আঁখি আলমগীর ও অন্যান্য শিল্পিবৃন্দ।