এখানে আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দিন।

ঢাকা ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৃহস্পতিবার

ব্রেকিং

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশর সকল জেলায় জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি পদে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ নিউজ সাইটের যোগাযোগ অংশে প্রদত্ত ঠিকানায় (ফোন, ইমেইল) যোগাযোগ করুন।

নিজস্ব প্রতিবেদক::

প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:১০

আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:১০

৭৫১

শেয়ার:

শরতের রঙে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সাঝে

কালের ধারায় প্রকৃতি জগতে প্রাণের সজীবতা, রং, রূপ ও স্নিগ্ধতা নিয়ে এসেছে ঋতুরানী শরৎ।

News

শরৎকাল বাংলা বর্ষপঞ্জির ভাদ্র ও আশ্বিন মাসব্যাপী কালপর্ব যা বর্ষার পরবতী এবং হেমন্তের পূর্ববতী তৃতীয় ঋতু। এ ঋতুকে বাংলার কবি সাহিত্যিক ও সুধীজন ঋতুর রানি বলে অভিহিত করেন। বর্ষার ক্রমাগত বর্ষণ শেষে আগমন ঘটে শরতের। শরতের রূপবৈচিত্র্য উপমাহীন। শ্রাবণ শেষে বিরামহীন বাদলের সমাপ্তি ঘটলেই প্রকৃতি নতুন রূপে সজ্জিত হয়। এসময় আকাশবুকে ভেসে চলে শুভ্র মেঘ। সূর্যের কিরণ হয় দীপ্তোজ্জ্বল আর বাতাস হয় অমলিন।

শরৎকে ইংরেজিতে "অটাম" বলা হলেও উত্তর আমেরিকায় একে "ফল" হিসেবে ডাকা হয়। পৃথিবীর ৪টি প্রধান ঋতুর একটি হচ্ছে শরৎকাল। উত্তর গোলার্ধে সেপ্টেম্বর মাসে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে মার্চ মাসে শরৎকাল গ্রীষ্মকাল ও শীতকালের মধ্যবর্তী ঋতু হিসেবে আগমন করে।

বাঙালির সামনে শরতের অপার সৌন্দর্য উপস্থাপন করেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বলেছেন, ‘শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি, ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি৷'। শরৎ যে এত অনিন্দ্য-সুন্দর, প্রতিটি বাঙালি তা অনুভব করে মর্মে মর্মে।

ছয় ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। বিশ্বের সকল দেশে ছয়টি ঋতুর আগমন কখনই ঘটে না। বাংলাদেশে প্রতি ঋতুরই রয়েছে আলাদা আলাদা পরিচয়। আর ঋতুর পার্থক্য ফুটে ওঠে ফুলে। শরতে সাদা কাশফুল আর শিউলির আধিপত্য ছাড়াও ফোটে আরও অনেক সহচরী ফুল।

এই সময় আকাশ থেকে কখনো ঝরে অঝর ধারায় বৃষ্টি, আবার কিছুক্ষণ পরই রোদ। দিগন্ত জুড়ে সাতরঙা হাসি দিয়ে ফুটে ওঠে রংধনু। প্রকৃতির এ অপরুপ যেন প্রিয় মানুষের সান্নিধ্য চায়। শরৎ মানেই লুকোচুরির খেলা।তাইতো কথায় আছে রোদ হচ্ছে বৃষ্টি হচ্ছে খেঁকশিয়ালির বিয়ে হচ্ছে। বাংলা সাহিত্যে শরৎ ও কাশফুলের কথা এসেছে নানানভাবে। শরৎ ও কাশফুলের বন্দনা  তাই কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায়, ‘কাশফুল  মানে সাদা শিহরণ জাগায়, মন বলে কত সুন্দর প্রকৃতি, স্রষ্টার  কি অপরুপ সৃষ্টি !

শরৎ এ ঝকঝকে নীল আকাশ। মৃদু বাতাস দোলা দিচ্ছে তাদের নরম পাপড়িতে। এই তো চিরচেনা শরত। চারদিকে কাশফুল আর কাশফুল। যেন খসে পড়েছে রাতের ঝলমলে তারা। মাটিতে মিশে গেছে তার গন্ধ। ছোট ছেলেমেয়েরা দল বেঁধে নামে শিউলি ফুল কুড়োতে। আর পাল্লা দিয়ে চলে মালা গাঁথার প্রতিযোগিতা, কিন্তু এখনকার সময়ে সবই স্মৃতি।

বষার্র অতি বষর্ণ ও অবিরাম মেঘবালিকার গুরুগুরু গজর্ন থেমে গিয়ে প্রকৃতিতে নিয়ে এসেছে এক অপরূপ দৃশ্য।

ঝকঝকে নীল আকাশের বুকে ধবধবে সাদা মেঘের ভেলা। নানাবিধ ফুলের শোভা আর শস্যের শ্যামলতা। ভাদ্র-আশ্বিন এ দুই মাস মিলেমিশে শরৎ ঋতু। শরৎ মানেই নদীর তীরে কাশফুল, গাছে গাছে শিউলি, বেলি, জুঁই, শেফালি, মালতি, টগর, হাসনাহেনা আর বিলে-ঝিলে শাপলা ফুলের সমারোহ  ক্ষেতে ক্ষেতে আমন ধানের বেড়ে ওঠা চারা। শরৎ ঋতুর সৌন্দর্য বাংলার প্রকৃতিকে করে তোলে রূপময় ও মোহনীয়।

শরতের সকালে বয়ে চলে ঝিরিঝিরি হাওয়া। ছোট ছোট পাখিদের বেপরোয়া দাপাদাপি ও মিষ্টি কলতান! ফুটন্ত শিউলির প্রাণ জুড়ানো ঘ্রাণ। শিউলি তলায় হালকা শিশিরে ভেজা দূবার্ঘাসের ওপর চাদরের মতো বিছিয়ে থাকে রাশি রাশি শিউলিফুল। আমনের মাঠে মাঠে শিশিরসিক্ত সবুজের স্বচ্ছ শামিয়ানা! বাতাসের দাপটে অবিরাম ঢেউ তুলে যায় আমন ধানের ক্ষেতজুড়ে। নদীর তীরে শুভ্র সাদা কাশফুলের খিলখিল হাসিতে যেন তার সবটুকু সৌন্দর্য ঢেলে পড়ার উপক্রম। শরতের আকাশের মতো স্বচ্ছ আকাশ আর কোনো ঋতুতে দেখা যায় না। এঁকেবেঁকে বয়ে চলা নদীর বুকে মাঝিরা ডিঙি নাও বইতে বইতে গেয়ে ওঠে ভাটিয়ালি গান। বিলের জলে নক্ষত্রের মতো ফুটে থাকে লাল, সাদা শাপলাফুল।সূযের্র রক্তিম আলোর ছটায় প্রকৃতি যেন অন্যরকম রঙে নিজেকে সাজায়।


          লেখকঃ মোঃ মাসুদ আলম 

                      পরিচালক

দি চাইল্ড কেয়ার একাডেমি ও সাংবাদিক



অপরূপ শরত প্রকৃতি

মন্তব্য করুন-

বাংলাদেশর সকল জেলায় জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি পদে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ নিন্মোক্ত ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।

নাম: আহসান হাবিব সোহেল
মোবাইল: ০১৭১২২৩১৩৯০
ইমেইল: doinikvoreraloi@gmail.com