ফেনী জেলার দাগনভুঞা উপজেলার অর্ন্তগত ৬নং সদর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনাব আনোয়ার হোসেন রিটু দাগনভ‚ঞা উপজেলার কৃষি অফিসের মাধ্যমে এন.এফ.এল.সি.সি প্রকল্পের মাধ্যমে মিশ্র ফল বাগানের জন্য উপর্যুক্ত কৃষক হিসেবে নির্বাচিত হন।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১০/০৮/২০২২ইং তারিখ তিনি বাগানটি স্থাপন করেন। বাগানটি স্থাপন করলে তার অজানা প্রতিপক্ষ জগতপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত হাজেরা আক্তার কাঞ্চি তাহার জায়গাতে গাছগুলো রোপন করা হয়েছে দাবী করে আনোয়ার হোসেন রিটুকে না জানিয়ে জনতাবদ্ধে অনধিকারভাবে বাগানে প্রবেশ করে রোপনকৃত গাছগুলো উপড়িয়ে ফেলেন। প্রদর্শনীতে মোট ১৭২টি গাছ ছিল। তন্মধ্যে নারিকেল, আম, লেবু, থাই পেয়ারা, কুল, পেঁপে উল্লেখ্যযোগ্য। বাগানটি রোপনে শ্রমিক খরচ ও জৈব রাসায়নিক সারের ব্যাপক প্রয়োগ হয়। যা আনুমানিক ২০ হাজার টাকা ও প্রদর্শনীর চারার অর্থ মূল্য আনুমানিক ৪০ হাজার টাকা সহ সর্বমোট ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন হয় এ সরকারি কর্মচারী দ্বারা। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানা যায়, তিনি প্রায় অনর্থক ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হন এবং অপক্ষমতার হুমকি প্রদান করেন। বাগানটির ক্ষতিসাধন বিষয়ে হাজেরা আক্তার কাঞ্চির যথাযথ কর্তৃপক্ষ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব তৌহিদুল ইসলাম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করা হয়। হাজেরা আক্তার কাঞ্চির সাথে মুঠোফোনে আলাপনে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি রোপনকৃত জায়গা নিয়ে বিরোধ আছে বলে জানান। ঘটনাটি দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ঘটিত হয়। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, যখন তিনি দায়িত্বরত অবস্থায় থাকার কথা তখন তিনি কি করে এ অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি ওই সময়টুকু ইন্সপেক্টর স্বপন চন্দ্র দাস থেকে ছুটি আহরণ করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলে, ছুটি নিয়ে কেন এ কাজটি করলেন এ বিষয়ে তিনি যথপোযুক্ত উত্তর দিতে পারেন নাই। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপর্যুক্ত ব্যবস্থা নিতে ২/৩ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন। এমন গুরুতর অপরাধ পার পেয়ে গেলে ভবিষ্যতে ঘটতে পারে আরও অনাকাঙ্খিত ঘটনা। যা এলাকাবাসীর কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়নে বাঁধার ও অন্তরায় এ অপরাধীর উপর্যুক্ত বিচার প্রার্থনা করেছেন ভ‚ক্তভোগী জনাব আনোয়ার হোসেন রিটু।