" ঝাঁজ কমলো কাঁচামরিচের"

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কমেছে মুরগি, সবজি ও কাঁচামরিচের দাম কমেছে। বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্য সব পণ্যের দাম। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

ছবি: ভোরের আলো ডেক্স

গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ায়  জনমনে যে উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছিল তা আজকের বাজারে দাম কমায় সস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে ক্রেতারা।

বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।বেগুন কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। কচু প্রতি কেজি ৪৫ টাকা।বাতাবি লেবু প্রতি পিস ২০ টাকা।ফুলকপি প্রতি কেজি ৮০ টাকা। বাজারে সিমের কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সিমের কেজি ছিল ২৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ২০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০, পেঁপের কেজি ২০, বটবটির কেজি ‌৮০ এবং ধুনধুলের কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। দাম কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে  ২০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। মহিশালবাড়ী বাজারের সবজি বিক্রেতা মোঃ মাসুম বলেন, সাপ্লাই ও আমদানি ভাল থাকায় সবজির দাম কমেছে। কাঁচামালের বাজারের কথা সঠিকভাবে কিছু বলার নেই কখনো বাজার উর্দ্ধগতি আবার কখনো নিন্মগতি।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজ। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা। ভারতীয় মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। আগে খোলা আটার কেজি বিক্রি হতো ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি আগে বিক্রি হত ৫২ টাকা।

এসব বাজারে লাল ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৮ টাকা। সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮.৫০। বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা। রেলওয়ে বাজারের ডিম বিক্রেতা মাসুদ বলেন, ডিমের দাম কমেছে। লাল ডিমের ডজনে আরও কমেছে ১০ টাকা। এখন লাল ডিমের ডজন ১০৮ টাকা। ডিমের দাম আর কমার সম্ভবনা নেই। খামারিরা বলছেন তাদের লস হচ্ছে। এক মাস পরে আবার ডিমের দাম বাড়তে পারে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।মহিশালবাড়ী  বাজারের মুরগি বিক্রেতা পলাশ বলেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ ভালো। আগের চাইতে দাম কিছুটা কমেছে।ব্রয়লার মুরগির দাম আর কমছে না। সোনালি মুরগির দাম নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।