"১০ শয্যা বিশিষ্ট মানসিক ও ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি"

সাতক্ষীরায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট মানসিক ও ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির।

ছবি: ভোরের আলো ডেক্স

‘‘গরীবদের বাঁচাও, দুনিয়ার মজদুর এক হও, শ্রমিকশ্রেণীসহ শোষিত-নিপীড়িত শ্রেণীকে মুক্ত কর’’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪.০৮.২০২২) সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট মোড়স্থ স.ম. আলাউদ্দিন চত্ত্বরে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক এ টি এম রইফ উদ্দীন সরদার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে রাখেন সদস্য সচিব ডা. মো. মুনসুর রহমান। তিনি বলেন, বাজারের আগুন মানুষের মনে দাও দাও করে জ¦লছে। এতে প্রতিনিয়িত ভেঙ্গে যাচ্ছে যৌথ পরিবার, ভেঙ্গে যাচ্ছে সম্পর্কের বন্ধনও। বাড়ছে বাল‍্যবিবাহ,নারী নির্যাতন, শিশু ধর্ষণ, আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা, মারামারি, ডির্ভোস-সেপারেশন ও পারিবারিক কলহ, শিশু নিপীড়ন, বেকারত্বের হার, মাদকের আগ্রাসন, জীবন-যাপনে প্রযুক্তির অতিনির্ভরতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার, পুরুষ নির্যাতন। এরপ্রভাবে মানসিক রোগ বাসা বাঁধছে ওই মানুষগুলোর শরীরে। এছাড়াও জেলার কিছু কিছু মানুষের শরীরে দিনদিন ক্যান্সারের জীবাণু বাসা গেরেছে। সাম্প্রতিক জেলার প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ এখন মানসিক রোগগ্রস্ত এবং ৪ হাজারের অধিক মানুষ ক্যান্সার নামক ভয়াবহ ব্যাধিতে আক্রান্ত। অথচ আন্তর্জাতিক মানের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল থাকার সত্ত্বেও নেই কোনো সাাইক্রিয়াট্রিক এবং অনকোলজি বিভাগ, নেই দক্ষ চিকিসৎকও। নেই সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওই রোগীদের বিভিন্ন প্রকার টেস্ট করার সুব্যস্থা। তারপর চিকিৎসায় বিশাল খরচ যোগাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। আর এ কারণেই আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের যেতে হচ্ছে বেসরকারি ক্লিনিকের পাশাপাশি খুলনা, রাজধানী ঢাকাসহ পাশর্^বতী দেশ ভারতেও। এতে চিকিৎসার অভাবে অকালে মৃত্যু ঘটছে শত শত রোগীর এবং মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বেকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে কত শত মানুষ। সেজন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে মানসিক ও ক্যান্সার রোগীগুলোর চিকিৎসার সুব্যবস্থা করার পাশাপাশি জেলায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট মানসিক ও ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি এখন সময়ের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ সড়কগুলো সংস্কার না হওয়ায় মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও নাগরিক সৌন্দর্য আইন লঙ্ঘন করে প্রতিনিয়ত সড়কের ধারের দেওয়াল ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ফেস্টুন, পোস্টার এবং ব্যানার লাগাচ্ছে কতিপয় স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। ওই পোস্টারগুলো কয়েকদিন পরে দেওয়াল থেকে খসে খসে পড়ছে এবং ওই পোস্টারগুলোর ধুলা সড়কে নিমিজ্জিত। ওই পোস্টারের ধুলা সড়কে চলাচলরত মানুষগুলোর ফুসফুসে প্রতিনিয়ত ঢুকছে। এতে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে তারা। সরকারি হাসপাতালে সেবা না পেয়ে ওই রোগীগুলো যাচ্ছে বেসরকারি ক্লিনিকে। আর লাভবান হচ্ছে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। তাই নাগরিক সৌন্দর্য রক্ষা আইন ‘দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১২’ যথাযথ কার্যকর করার পাশাপাশি জেলার মানহীন অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে উন্নতমানের সেবা প্রদানের সু-ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি পৌর প্রাথমিক শাখা কমিটির আহবায়ক মো. বায়েজীদ হাসান। এসময় আলী হোসেন, করিম, মাজেদ, নুর মোহাম্মাদ, মোঃ আহাজ উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

 বার্তা প্রেরক, 

ডা. মো. মুনসুর রহমান

সদস্য সচিব

বাংলাদেশের বিপ্লবী  ওয়ার্কার্স পাটি

সাতক্ষীরা জেলা শাখা।