লেখক,ফারজানা ইয়াসমিন
মা,এখন আর ইদে বাড়ি যাই না,
তুমি নেই মনে হলেই বুকের ভিতর মোচড় দেয়।
তোমার রান্না করা মাংসের ঘ্রাণ আজও
নিজের রান্না করা খাবারের মধ্যে খুঁজি।
হয় না মা তোমার মতো স্বাদ,ঘ্রাণ কোনটাই,
খুব মনে পড়ে মা তোমাকে,
আজও ছোট বেলার স্মৃতি গুলো চোখ ঝাপসা করে তোলে।
মাগো আমাদের জন্য তোমার হয়নি নতুন শাড়ি কেনা,
তিন বছর আগের তুলে রাখা শাড়িতেও তুমি লাগতে অনন্যা।
কোনো প্রসাধনী লাগতো না তোমার,
তোমার ঘামে ভেজা ক্লান্ত মুখেও গেলে থাকতো ইদের চাঁদের হাসি।
নিজের শূন্য পেট ভোরতো মা তোমার আমাদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে,
মাগো খুব মনে পড়ে তোমার শুকনো সেই মুখ।
তুমি পথ চেয়ে থাকতে বসে দরজা খুলে রাতের পর রাত,
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত তখন আমি
আমার নিজের সংসারে কতো কাজ।
আজ মাগো বুঝতে পারি কতো কষ্ট হতো,
আজ যে তোমার মতো আমারও পথ চেয়ে থাকার পালা হয়েছে শুরু।
তোমাকে দেওয়া বাবার শেষ শাড়িটা,
তুমি চলে যাওয়ার পর সাথে নিয়ে এসেছি।
মাঝে মাঝে বুকের সাথে, নাকের সাথে জড়িয়ে ধরি,
এখন আর তোমার ঘ্রাণ তাতো নেই।
তাই চোখ বুজে জোরে নিঃশ্বাস নেই তোমার ঘ্রাণ পেতে,
হঠাৎ কোথা থেকে যেন উড়ে আসে শুভ্র সেই ঘ্রাণ।ভালো থেকো মা যেখানেই আছো তুমি,
বাবাকে বলো,আজও নামাজ শেষে সামালির অপেক্ষা করি।