রাজশাহীতে জমে উঠেছে কুরবানি পশুর হাট
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ধর্মীয় ঐতিহ্য ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে আগামী ১০ জুলাই ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশু কোরবানি করবেন মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মপ্রান মানুষ। আর এই কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট।
ছবি: ভোরের আলো ডেক্স
কোরবানির সময় যত ঘনিয়ে আসছে পশু হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড় ততই বাড়ছে। ক্রেতারা বলছেন গরুর দাম বেশি। বিক্রেতারা বলছেন মাঝারি গরুর চাহিদ বেশি। কোরবানি উপলক্ষে হাট কর্তৃপক্ষ নিয়েছেন নানা উদ্যোগ।
বুধবার ৬ জুলাই রাজশাহী সিটি হাট, কাকন হাট, ও গোদাগাড়ী উপজেলার একমাত্র ঐতিহ্যবাহী মহিযালবাড়ী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু নিয়ে হাটে এসেছেন কৃষক, খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, কোরবানি উপলক্ষে কৃষক, ও খামারিরা প্রতি বছর পশু মোটাতাজা করে থাকেন। খামরিরা বলেন গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধির পরেও কোরবানির পশুর দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। গরু বিক্রেতা মজিদ আলী বলেন দু’টি বড় ষাঁড় নিয়ে হাটে এসেছি। ষাঁড় দু’টির দাম চাচ্ছি দশ লাখ টাকা। ক্রেতারা ৮ লাখ টাকা দাম বলেছেন। এই দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে না তবে কোনো লাভ হবে না।
খামারী মঞ্জুর আলী বলেন, গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় একদিকে গরু পালনের খরচ বেড়ে গেছে। এতে খামারিদের আশানুরূপ লাভ করতে পারছে না।
রানা নামের এক ক্রেতা বলেন, গরুর দাম বেশি। বিক্রেতারা মাঝারি সাইজের গরুর দাম চাচ্ছেন ৮৫ হাজার থেকে ১লক্ষ টাকা। ক্রেতারা হাটে এসে তাদের পছন্দসই পশু ক্রয় করতে পারায় খুব খুশি। এদিকে এক সময়ের আলোড়ন সৃষ্টিকারী মহিশালবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী গরু,মহিষ,ও ছাগলের হাটটি ছাগলের হাট হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষেরা কুরবানির পশু ক্রয় বিক্রয় করতে আসে। ছাগল বিক্রেতা শহীদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আজকের বাজারে পশুর দাম সহনশীল। দাম সহনশীল থাকায় ক্রেতারা তাদের তাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে কুরবানির পশু কিনতে পারছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ক্রেতারা হাটে গরু ছাগল কিনতে এসে অসুস্থ রোগা পশু ক্রয় করে না ঠকে এজন্য পশুর হাটে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের মেডিক্যাল টিম পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করছে। মেডিক্যাল টিমের সদস্য মোঃ দুরুল হোদার সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন সকাল থেকে প্রায় একশোটি পশু পরীক্ষা করি।সেখানে কোন অসুস্থ প্রাণী পাওয়া যায়নি। এছাড়াও হাটে কুরবানির পশু বিক্রি করতে এসে জাল নোট না ছড়াতে পারে পারে সেজন্য উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড গোদাগাড়ী উপজেলার মহিশালবাড়ী শাখার ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি ইউনিট কাজ করেন। অন্যদিকে গোদাগাড়ী মডেল থানার একটি প্রতিনিধি দল এর টহল লক্ষ্য করা যায়। তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন ক্রেতা বিক্রেতা যাতে সুষ্ঠভাবে কুরবানির পশু ক্রয় বিক্রয় করতে পারে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই বিষয়কে সামনে রেখে আমাদের আজকের আসা।