গোদাগাড়ীতে ইফার উদ্যোগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা সভা
গোদাগাড়ী উপজেলা পর্যায়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে করনীয় এবং সামাজিক সমস্যা নিরাসন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ছবি: ভোরের আলো ডেক্স
বুধবার (০১ জুন) সকাল ১০ঃ০০ টায় উপজেলা হল রুমে। ইফার ফিল্ড সুপারভাইজার আব্দুল অদুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জানে, এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাওলানা মোঃ আব্দুল আলিম,হাফেজ ক্বরী মাওলানা মোঃ আব্দুল মোমিন। সাংবাদিক মোঃমাসুদ আলম, ইফার জিসি,মনিরুল ইসলাম, জায়েদুল হক, ফরহাদুজ্জামান,তরিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমাম ও শিক্ষকবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন
সম্প্রতি বাংলাদেশসহ বিশ্বের কতিপয় দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বার্নিং ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। ইসলামের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্য ষড়যন্ত্রের কারণেই এই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উত্থান। তারা ইসলামকে কলঙ্কিত করতে, সত্যিকার ইসলামপন্থি, ইসলাম প্রচারক ও ইসলামী আন্দোলনকারীদের বিতর্কিত করতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করছে। অন্যদিকে ইসলামী দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নতির পথ রোধ করতে এবং এসব দেশে তাদের সামরিক আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে একে কাজে লাগাচ্ছে। তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কিছু বিভ্রান্ত মুসলিমকে বেছে নিয়েছে। পাশ্চাত্য ষড়যন্ত্রের কারণে হোক কিংবা অন্য কোন কারণে হোক যারাই এই পথে পা বাড়িয়েছে তারা জঘন্যতম অপরাধে জড়িত হয়েছে এবং ফিতনা-ফাসাদে লিপ্ত হয়েছে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কারণ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের শিক্ষা এবং দ্বীনি দাওয়াতি কাজের গুরুত্ব সম্পর্কে মূল্যবান আলোচনা রয়েছে কুরআন-হাদীস ও ইসলামী গ্রন্থসমূহে। ইসলামের আলোকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে অত্যন্ত চমকপ্রদ বিশ্লেষণসহ মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে তাতে সুনির্দিষ্ট ধারণাও দেয়া আছে। ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে, তারা প্রিয় নবী (সা.)-এর শিক্ষা ও আদর্শ থেকে অনেক দূরে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের কোন ধর্ম নেই। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও আতঙ্কগ্রস্ত করে পার্থিব সম্পদ অর্জন, ক্ষমতা দখল ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা।তাই আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।