বৃহস্পতিবার ১৯ মে সকাল ১০ টায় শ্রী শ্রী মাধ্ব গৌড়ীয় মঠের শতবর্ষ উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
জগদগুরু প্রভু শ্রী শ্রী ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর ১৯২১ সালের ৩১ অক্টোবর ঢাকায় শ্রী শ্রী মাধ্ব গৌড়ীয় মঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সারা বিশ্বে ৬৪ টা মঠের মধ্যে ঢাকা শ্রী শ্রী মাধ্ব গৌড়ীয় মঠ তৃতীয়। প্রভুপাদ নারিন্দায় শ্রী শ্রী মাধ্ব গৌড়ীয় মঠ প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন অন্তর্গত। বর্তমান সরকার মঠটিকে জাতীয় স্থাপনা ঘোষণা করেছেন। মঠটিতে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর আনুগত্যে রাধা-কৃষ্ণের সেবা করা হয়।পরমার্থ অনুশীলনই গৌড়ীয় মঠের উদ্দেশ্য। বৈষ্ণব ধর্ম যারা যাজন করেন তাদের অর্থাৎ শ্রীচৈতন্যের ভক্তগনকে গৌড়ীয় বলা হয়।এ মঠ হতে সনাতন ধর্মের শুদ্ধ ভক্তি-ধারা আচরণ শিক্ষাদান ও প্রচার করা হয়। একদিকে যেমন শ্রীমন্দিরে শ্রীচৈতন্যদেব ও রাধা
কৃষ্ণের প্রাত্যাহিক সেবাও পূজা,ষ করা হয়, অন্যদিকে তেমনি নাটমন্দিরে শ্রীচৈতন্যের দর্শনের
আলোকে কলিহত জীবের মুক্তির লক্ষ্যে পারমার্থিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। জগন্নাথদেবের রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী,রাধাষ্টমী, অন্নকুট,দোলপূণির্মা,গুরুপূজা প্রভৃতি এ মন্দিরের প্রধান প্রধান উৎসব।
আজ থেকে পাঁচ শতাধিক বছর আগে মহাপ্রভু সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক, উগ্রবাদ, দুর্বলের প্রতি সবলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তিনি তাঁর দর্শন ও শিক্ষার মাধ্যমে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষে মানুষে সৌভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার পথ প্রদর্শন করেছিলেন যা আজও অনুসৃত হচ্ছে।
আগামী ২০ মে ও ২১ মে ২০২২ শুক্রবার ও শনিবার শ্রী শ্রী মাধ্ব গৌড়ীয় মঠের শতবর্ষ উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠান
উপলক্ষে দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
<!--StartFragment--> <!--EndFragment-->
সংবাদ সম্মেলনের সম্মানিত সভাপতি, শ্রী সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, সারা বিশ্বের মধ্যে মাধ্ব গৌড়ীয় মঠ অন্যতম। সকল ধর্মের ভেদা-ভেদ ভুলে গিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানে আসার জন্য আহ্বান জানান। উক্ত অনুষ্ঠানে অসংখ্য ভক্তের সমাগম ছাড়াও দেশ বিদেশের বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গেরও ঘটবে বলে আশা করি। আরাও বলেন আমাদের এই আনন্দ আয়োজনে আপনারা সর্বাত্নকভাবে অংশগ্রহণ করবেন “ ধর্ম যার যার উৎসব সবার”।