হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়টির বেহাল অবস্থা। প্রতিষ্ঠার ৬৩ বছরেও উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবে জরাজীর্ণ পাকা ভবন ও টিনশেড ঘরে ঝুঁকি নিয়ে ছাত্র ছাত্রী-নিয়মিত ক্লাস করছে।
চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে ৫ নং শানখলা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে শাকির মোহাম্মদ মনোরম পরিবেশে অবস্থিত বিদ্যালয়টি। তারপাশে অবস্থিত শাকির মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয় ও শাকির মোহাম্মদ বাজার জামে মসজিদ । একসময়ে অত্র এলাকায় শিক্ষা ও সভ্যতা বিকাশের একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিই ছিল শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় । সারাদেশে যখন শিক্ষা সভ্যতার বিকাশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই অবহেলায় দিন পার করছে শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়টি । একসময় অত্র এলাকায় ও আশেপাশে কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল না, চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিম অঞ্চল শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলে একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিই ছিল শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় , বিদ্যালয়টিতে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮ শতাধিক ছাত্র/ ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ কর্মরত কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ জন। বিদ্যালয়টি প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত জে এস সি/ এস এস সি পরীক্ষার ফলাফলও বেশ ভাল।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের পুরনো শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়টির বেহাল অবস্থা, বিদ্যালয়ের মুল পুরাতন ফাঁকা চারচালা টিনের ঘরটি ভেঙ্গে পেলা হয়েছে। একটি নতুন বিল্ডিং হওয়ার আশায়, বিদ্যালয়ে এর বহু পুরাতন মুল পাক্কা ঘড়টি ভেঙ্গেপেলায় শ্রেণি কক্ষের সমস্যাটা আরও ভেড়েছে । তবে নতুন বিল্ডিংয়ের কাজ কবে হবে এর কোন হদিস নাই। স্কুল কতৃপক্ষ এবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ, শ্রেণীকক্ষে দরজা-জানালা থাকলেও তা ভাঙা। চেয়ার-টেবিলসহ বসার বেঞ্চ নষ্ট হয়ে গেছে। শিক্ষা উপকরণ, পাঠাগার ও খেলাধুলার সরঞ্জামের তীব্র সংকট রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে দুইটি মাত্র টয়লেট থাকলেও তা প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী। ফলে এ ক্ষেত্রে ছাত্র-/ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিড়ম্বনার শেষ নেই।
ঘুরে দেখা যায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার কোন পরিবেশ নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের জন্য ২টি আধা পাকা, একটি টিন শেডের ঘর, একটি পাক্কা ঘর আছে, সেই ঘরটি ব্যাবহার হয় অফিস ও শিক্ষকদের জন্য, বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে বিদ্যালয়টি এলাকায় বিশিষ্ট জনরা বলেন আমরা চাই সরকার ও স্থানীয় এলাকাবাসী মিলে শিক্ষার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে,বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ৬৩ বছর অতিবাহিত হলেও এই বিদ্যালয়ে উন্নয়নের কোনো চুয়া লাগেনি। সরকারি অনুদান ও তেমন পাওয়া যায়নি। শিক্ষাবান্দব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা খাতে অনেক উন্নয়ন করে ছেন, শিক্ষাবান্দব জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই উন্নয়ন করেছেন। এলাকার সুশিল সমাজ, ছাত্র /ছাত্রীর অভিভাবক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক /শিক্ষিকা, সহ এলাকার লোকদের প্রানের দাবি, মাননীয় প্রধামন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, বেসরকারী বিমান ও পর্যটন প্রতি মন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্চি বিদ্যালয়টির প্রতি শু দৃষ্টি নেওয়ার জন্য। বর্তমানে বিদ্যালয়টি পাঠদানের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে এই টিনের চালা দিয়ে পানি চুয়ে চুয়ে পড়ে। তারপরও শিক্ষকগণ অতিকষ্টে অধ্যায়নরত প্রায় আটশ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে পাঠদান চলিয়ে যাচ্ছেন। এ বিদ্যাপীঠ থেকে প্রতিবছর ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করে আসছে। অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধান করা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শ্রেণীকক্ষের সংকটের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়েই জরাজীর্ণ এই ঘরে ক্লাস করছে। আশেপাশে নতুন নতুন অনেক মাধ্যমিক বিদ্যালয় হয়েছে সেই গুলোর উন্নয়ন হলেও শাকির মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন হয়নি । এ ব্যাপারে শিক্ষার মানউন্নয়ন কল্পে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।