নিহত ৩০ জনের জানাজা শেষ

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৩০ জনের জানাজা বরগুনা সার্কিট হাউজ ইদগাহ ময়দানে শেষে দাফনের কার্যক্রম শেষ হয়।

ছবি: ভোরের আলো ডেক্স

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতাল থেকে মোট ৩৭ জনের মরদেহ বুঝে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। বাকি ২৮ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে সাতজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আর শনাক্ত হলেও একইসঙ্গে আরও দুজনকে দাফন করা হচ্ছে।

বরগুনা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জানাজায় স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ অংশ নেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, বরগুনা সদর হাসপাতালে সংরক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক ব্যবস্থা না থাকায় ১১টার পর ৩০ মরদেহের সার্কিট হাউজ মাঠে সম্মিলিত জানাজা হয়। শেষে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ১২টার মধ্যে সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোটকাখালী এলাকায় গণদাফন করা হয়েছে।

নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, এর নির্দিষ্ট তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই। তবে উপাত্ত সংগ্রহের জন্য সেল গঠন করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের আহ্বাবান জানিয়েছি নিখোঁজের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে। দুই-একদিনের মধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য জানা যাবে। যদি কেউ ডিএনএ নমুনা নিয়ে আসেন, তাহলে তাকে পরবর্তীতে কবর শনাক্ত করে দেয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চে রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুন লাগে। ওই সময় অনেকে গভীর ঘুমে ছিলেন। অন্যদের চিৎকার চেঁচামেচিতে তাদের ঘুম ভাঙে। কী ঘটেছে তা বুঝে ওঠার আগেই এদের কেউ দগ্ধ হন এবং মারা যান। অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। আবার কেউ ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় প্রাণে বাঁচেন।