শিক্ষাব্যবস্হা জাতীয়করনের দাবি বাস্তবায়ন এবং দেশে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি বজায় রাখতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচী অনুযায়ী দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফরের অংশ হিসেবে স্বাশিপ বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে বরিশাল সিটি কলেজ প্রাঙ্গনে শিক্ষক সমাবেশ ও ইএফটির মাধ্যমে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের কল্যান সুবিধার অর্থ প্রদান।
অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন স্বাধীনত শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক ও বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী কল্যান ট্রাষ্টের সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
স্বাশিপ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাশিপ কেন্দ্রীয় নেতা সাইদুর রহমান পান্না,অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম,অধ্যক্ষ তেলোয়াত হোসেন,অধ্যক্ষ মামুনূর রশিদ,মোঃ কবির হোসেন,অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম,অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম,অধ্যক্ষ নাসির উদ্দীন,প্রধান শিক্ষক হুমায়ূন কবির, প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সহ বিভিন্ন জেলা, উপজেলা স্বাশিপ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ইএফটির মাধ্যমে প্রদান,মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে শিক্ষাব্যাবস্হা জাতীয়করন করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেন।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষক ও শিক্ষাবান্ধব দেশে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি বিনস্ট করার লক্ষ্যে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি তাদের বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই সকল শিক্ষক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাত করতে হবে।
তিনি বলেন,সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সরকার গত ১২ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে অবদান রেখেছে তা অতীতে সকল সরকার মিলেও করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে শিক্ষাব্যবস্হা জাতীয়করনের কোন বিকল্প নাই। দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে যা উন্নয়ন হয়েছে তা বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যার হাত ধরেই এসেছে।
শিক্ষাব্যবস্হা জাতীয়করনের ঐতিহাসিক ঘোষনা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। উক্ত প্রতিনিধি সমাবেশে বরিশাল বিভাগের জেলা, উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে ৯১ জন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের স্ব স্ব একাউন্টে তিন কোটি বিরানব্বই লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার দুই শত সত্তর টাকা ইএফটির মাধ্যমে কল্যান সুবিধার অর্থ প্রেরন করা হয়।