সপ্তাহের ব্যবধানে বরগুনার সবজির বাজারে যেন রীতিমতো আগুন জ্বলছে। লাগামহীন ভাবেই দাম বাড়ছে প্রায় সকল প্রকার কাচা শাক সবজির। “কাঁচা মরিচ” সে তো সপ্তাহ ক্ষানেক ধরেই ডাবল সেঞ্চুরি হাকিয়ে চলছেন।
” টমেটো” তিনিও কিন্তু কম যান না, তারও স্ট্রাইক রেট ১২০ থেকে ১৩০। সবজি বাজারে দ্রব্য মূল্যের অস্বাভাবিক উর্দ্ধগতির করনে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
আগাম শীতকালীন শাক-সবজি বাজারে আসলেও দাম কমছে না কোন সবজির। বরগুনায় সবজি বাজারের দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি চরম প্রভাব ফেলেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের উপর। বাজারে সবজি কেনাকাটা করতে গিয়ে যেন হিমসিম খাচ্ছেন তারা।
রবিবার (১০ অক্টোবর) সবজি বাজারে কেনাকাটা করতে আসা জুয়েল নামের একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে প্রায় সকল প্রকার কাচা শাক সবজির দাম বাড়তি। যতটুকু রোজগার করি, সবজির দাম এভাবে থাকলে তাতে মনেহয় সপ্তাহে দু একদিন সবজি কিনে ক্ষেতে পারবো।
ছগির হোসেন নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহেও কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা ছিল, আজ দেখি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির কারনে না কিনেই চলে আসলাম। শুধু কাঁচা মরিচই না সকল সবজিতে দাম বৃদ্ধি।
বাজারে সবজি কেনাকাটা করতে আসা আরো কয়েকজন ক্রেতা বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সকল সবজির কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বৃদ্ধি, আবার অনেক অনেক সবজির কেজিতে ৫০টাকাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বরগুনা সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, কাকরোল আকার ভেদে ৪০ থেকে ৫৫ টাকায়, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কচুর ছড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, পটল ৪৫ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, দেশি শসা ৭০ টাকা, পাতাকপি ৬০টাকা, সিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ফুল কপি ১০০ টাকা, আমড়া ৪০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৭৫ টাকায় কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
বরগুনা পৌর শহরের কয়েকজন শাক – সবজি পাইকারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এক শ্রেণীর অসাধু মৌসুমি সবজি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মোকামে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সবজির দাম বৃদ্ধি করে বিক্রয় করে। সবজি সংকটের কারনেই মোকামে সবজির দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।
বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান প্রতিবেদককে বলেন, জেলার শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে।