সনাতন ধর্মলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটার খলিষখালীতে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে।
সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দূর্গাপূঁজা আর মাত্র কয়েকদিন বাকী। প্রতিবছর অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেবী দূর্গার আগমন ঘটে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মানুসারে সত্য, ত্রেতা, দাপর, কলি যুগের মধ্যে ত্রেতা যুগের অবতর রাজা রামচন্দ্রের আমল থেকে এই দূর্গাপূঁজা পালন হয়ে আসছে। অশুভ শক্তি অসুরের অত্যাচারে মানবকুল এমনকি দেবতাকুলও অতিষ্ট হয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলে, ঈশ্বর তার সকল শক্তি একিভুত করে নারী মূর্তি ধারণ করে দেবী দূর্গাকে ধরণিতে পাঠায়। দেবী দূর্গা অশুভ অশুরকে পরাজিত করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে। আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠির মধ্য দিয়ে শারদীয় দূর্গোৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়বে। ১২ অক্টোবর সপ্তমী, ১৩ অক্টোবর অষ্টমী, ১৪ অক্টোবর নবমী, ১৫অক্টোবর
বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে ৫ দিন ব্যাপি বাঙালী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা পরিসমাপ্তি ঘটবে। ইতি মধ্যে পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালীতে ২০ টি পূজা মন্ডপে শেষ মুহুর্তে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎ শিল্পীরা। এছাড়া বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেবী তৈরীর কারিগররা এসেছিল মাস খনেক আগে মূর্তি তৈরী করার কাজে। দূর্গা পূজা, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব হিসাবে পালন করা হয়ে থাকে। বড় ছোটো সকলের জন্য এই পূজা খুবই আনন্দের হয়ে থাকে। ঢাকের তাল দিয়ে আর শিউলীর মিষ্টি গন্ধে পুরো বাংলা দূর্গা পূজার হাওয়া বইতে থাকে। ষষ্ঠী থেকে শুরু করে, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, বিজয়া দশমী’তে মন্ডপে মন্ডপে দূর্গা পূজার জমজমাট আর আনন্দে মেতে ওঠা বাঙালীদের দেখতে পাওয়া যায়। দূর্গা পূজা বাঙ্গালীর একটি বৃহত্তম এবং সর্বাধিক পালিত উৎসব। মা দুর্গা পূজার সাথে সাথে একই মঞ্চে মা লক্ষী, মা সরস্বতী, শ্রী গণেশ এবং শ্রী কার্তিক দেবী দেবতাদের ও পূজা করা হয়। বাঙালী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা। কাঁশফোটা শরতের শারদীয় দূর্গোৎসবকে সামনে রেখে মন্দির গুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। খলিষখালী, দলুয়া, চোমরখালী, গোয়ালপোতা, কাদিকাটি, গাছা সহ কয়েকটি গ্রামের পুঁজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, শেষ মুহুর্তে মন্দিরে মন্দিরে দ্রুত গতিতে চলছে প্রতিমা রঙের কাজ। কোথাও কোথাও রঙের প্রলেপ’র কাজ শেষ। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে মন্দির গুলোতে আগাম শারদীয় উৎসবের আমেজ চলছে। উচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্রে করে মহা-মিলন হয় বলে এ পূজাকে বলা হয় সার্বজনীন পূজা। আর শরৎকালে হয় বলে বলা হয় শারদীয় উৎসব। দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে খলিষখালীতে ২০ টি মন্ডপের পূজা উদযাপন কমিটি ব্যস্ত সময় পার করছে। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু স¤প্রদায়ের শিশু, নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ এ শারদীয় উৎসবকে স্বার্থক করতে প্রহর গুনছে। সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে প্রতিটি পূজামন্ডপে। খলিষখালী পূঁজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কমল কুমার দাশ জানান, এবছর পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালী ইউনিয়নে মোট ২০ টি পূঁজা মন্ডপে দূর্গাপূঁজা অনুষ্ঠিত হবে। পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মো: নজমুল হুদা জানান, আসন্ন দূর্গাপূঁজায় খলিষখালী সহ থানায় সকল প্রকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ সদস্যরা পূঁজা চলাকালীন দর্শনাথীদের নিরাপত্তার জন্য সব সময় নজরদারী রাখবে।