এখানে আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন দিন।

ঢাকা ২৭ এপ্রিল ২০২৪ শনিবার

ব্রেকিং

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশর সকল জেলায় জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি পদে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ নিউজ সাইটের যোগাযোগ অংশে প্রদত্ত ঠিকানায় (ফোন, ইমেইল) যোগাযোগ করুন।

মোঃমিজান মৃধা ,বোয়ালমারী/আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২১, ১৮:০৯

আপডেট: ২৭ মে ২০২১, ১৮:০৯

৫১৭

শেয়ার:

দুই উপজেলার ঠেলাঠেলিতে রাস্তা বিপাকে, জনগণের দুর্ভোগের সিমা নেই

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ও সালথা উপজেলার বাহিরদিয়া সীমান্তবর্তী দুটি গ্রাম। এ দুই গ্রামের মাঝে রয়েছে দুই উপজেলা মিলে বিরাট একটি ফসলি মাঠ।

News

মাঠের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে দাদপুর থেকে বাহিরদিয়ার দিকে একটি কাঁচা রাস্তা। এ রাস্তাটি দুই গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের মানুষের চলাফেরা ও যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা। আশপাশের আরো কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারাও পরস্পর চলাফেরা করে এ রাস্তা দিয়ে। রাস্তাটির আয়তন প্রায় তিন কিলোমিটার।

সরেজমিন গেলে সত্তুরার্ধে বয়সী মুরব্বিরা জানান, তাঁদের শৈশবে রাস্তাটি নির্মিত হয়েছে অর্থাৎ রাস্তার বয়স কমপক্ষে ৪০ বছরের বেশি। স্বাধীনতার পরবর্তী দশকে নির্মিত এই বয়স্ক রাস্তাটি স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতেও জন্মাবস্থার মত সেই কাঁচাই রয়ে গেছে। বয়সের ভারে তার অবস্থা এখন অনেকটাই জীর্ণশীর্ণ। রাস্তার দুই পাশের বৃহদাকার মাঠের প্রধান দুই ফসল পাট, পিঁয়াজ ও ধানসহ সব ধরনের ফসল দূরের গৃহস্থরা এক সময় গরুর গাড়ি এবং বর্তমানে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও নছিমন যানে ফসলাদি বাড়িতে নেন। ক্ষেত থেকে পিঁয়াজ উত্তোলনের সময় বৃষ্টি-বাদল কম থাকায় রাস্তা কাঁচা হলেও কোন মতে মৌসুম অতিবাহিত করে হাফ ছেড়ে বাঁচেন কৃষকরা। কিন্তু কৃষকরা বিপাকে পড়েন পাট কাটার সময়; বর্ষা আর বৃষ্টিতে অধিক মানুষের চলাচলের কারনে এ রাস্তা দিয়ে হাঁটা-চলার উপযোগী থাকে না। এটেল মাটির রাস্তার কাঁদার সঙ্গে পানি মিশে ইটভার কাঁদামাটিতে রূপান্তরিত হয়। বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর গ্রামের চিতার বাজারে বড় একটি ব্যবসায়িক বাজার রয়েছে। সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার দুইদিন এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। সালথা ও বোয়ালমারীর মানুষ মিলিয়ে দুই উপজেলার পিঁয়াজ, পাট ও ধান কেনা-বেচার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারটি। অন্যান্য পণ্য সামগ্রীও এখানে কেনা বেচা হয়। তাছাড়া হাটের দিন ছাড়াও চিতার বাজার সব সময় নানা জিনিসপত্রের ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট থাকে। এ বাজারের অনেক ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতা সালথা উপজেলার বাহিরদিয়া গ্রামের মানুষ। গ্রামটির শেষ প্রান্ত থেকে চিতারবাজারের দূরত্ব প্রায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটারের পথ। চিতার বাজার আসতে তাদের প্রচুর কষ্ট হয়। বর্ষা শুরু হলে চিতার বাজারে আসা-যাওয়ায় বাহিরদিয়াবাসীর চরম বিপাকে পড়তে হয়। দাদপুরবাসীরাও ফসল ঘরে তুলতে এ রাস্তাটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে থাকেন। একই সঙ্গে এলাকার প্রাইমারী, হাইস্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরাও রয়েছে চরম দূর্ভোগে। তাছাড়া বাহিরদিয়া গ্রামে অবস্থিত ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী সু-প্রাচীন ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া আজিজিয়াতেও (বাহিরদিয়া মাদরাসা) বোয়ালমারী উপজেলার অনেক ছোট-বড় কমলমতি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন মাদরাসায় যাওয়া-আসায়ও যথেষ্ঠ কষ্ট স্বীকার করতে হয়। বিশেষ করে দুই গ্রামের মাঝে সংযোগ স্থাপনকারী এ রাস্তাটি সবার জন্য অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তাটির বেহাল দশা শুনে এবং কল্পনার চিত্র দেখে পাঠকদের এ কথা ভাববার কোনই সুযোগ নেই যে, এ অঞ্চলের সব রাস্তা-ঘাটের অবস্থাই এরকম করুণ; বরং দেশের অনেক মফস্বল এলাকার চেয়েও দাদপুর-বাহিরদিয়া সামগ্রিক বিবেচনায় বেশ উন্নত। দুই গ্রামেরই প্রতিটি বাড়িতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়ে গেছে। ছোট ছোট রাস্তাগুলোও এখন পাকা-পিচঢালা। কিন্তু এ রাস্তাটি এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এর কারণ হলো, রাস্তাটি মূলত কোন উপজেলার; বোয়ালমারীর নাকি সালথার? সচেতন সমাজ ও এলাকার গন্যমান্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভৌগলিকভাবে রাস্তাটি দুই উপজেলার যৌথভাবে দুটি গ্রামেই অবস্থিত। কিন্তু দুই উপজেলার সীমান্তে পড়ায় এ রাস্তার প্রতি স্থানীয় প্রশাসন ও কর্তাব্যক্তিদের নজর খুবই কম। এজন্য স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও ৪০ বছর বয়সী এ রাস্তাটি এখনও এক টুকরো ইটের

ছোঁয়া পায়নি, অথচ দুই গ্রামের সব শ্রেণিপেশা মানুষের প্রয়োজনে এ রাস্তাটি পাকা-পিচঢালা হওয়া সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবি। এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসন ও কর্তাব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানিয়েছেন; এই রাস্তাটি এভাবে আর কতদিন পড়ে থাকবে।


রাস্তা

মন্তব্য করুন-

বাংলাদেশর সকল জেলায় জেলা প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি পদে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ নিন্মোক্ত ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।

নাম: আহসান হাবিব সোহেল
মোবাইল: ০১৭১২২৩১৩৯০
ইমেইল: doinikvoreraloi@gmail.com