কুষ্টিয়ার কুমারখালি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের তালিকায় নাম থাকলেও ৪ বছরে উপবৃত্তির টাকা মেলেনি নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর।
৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়াকালীন উপবৃত্তির তালিকায় নাম আসলেও মোবাইল নাম্বার ভুলের কারনে একই শ্রেণির আরেক ছাত্রী যে তালিকাভুক্ত নয় তার মোবাইলে টাকা আসে এবং ৪ বছর পর্যন্ত সেই ছাত্রীই উপবৃত্তির সুবিধা ভোগ করছেন। দীর্ঘ সময়েও মোবাইল নম্বর সংশোধন করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা নুরুজ্জামান জানান, আমার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে প্রথম উপবৃত্তির টাকা না পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট অভিযোগ দিলে তিনি জানান মোবাইল নম্বর ভুলের কারনে তার মেয়ের পরিবর্তে একই শ্রেণির আরেক ছাত্রীর নাম্বারে টাকা এসেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে দরখাস্ত দিয়ে ঠিক করা হবে। কিন্তু বর্তমানে আমার মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ছে এখনো পর্যন্ত উপবৃত্তির টাকা তিনি পাননি। তিনি আরো জানান আমি একজন খেটে খাওয়া মানুষ সামান্য আয় করি। আমার মেয়ের টাকা আরেক ছাত্রী যার মোবাইলে আসে তারা অবস্থাশালী, স্কুল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে স্কুলে বসেই বিষয়টি সমাধান করতে পারে।
এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম জানান, উপবৃত্তির ক্ষেত্রে এমন ভুল মোট ৬৯ জন শিক্ষার্থীর হয়েছিলো। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ৬৫ জনের সমাধান ইতিমধ্যে হয়েছে বাঁকী ৪ জনের জন্য আবারও দরখাস্ত দেয়া হয়েছে আশা করছি খুব দ্রুত সমাধান হবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রশিদ জানান, আমার কাছে এমন সমস্যা জানিয়ে কোন দরখাস্ত দিয়েছে কিনা মনে করতে পারছিনা। প্রধান শিক্ষক এসে আমাকে জানালে বুঝতে পারবো বিষয়টি।