র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ এবং দেওয়ানহাট এলাকায় কতিপয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন পরিষদ এর নাগরিক সনদ তৈরি করে প্রতারণাসহ জালিয়াতির উদ্দেশ্যে তথ্য সংরক্ষণ ও বহন করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ০৫ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখ ১:৪৫-৪:২০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে এম.এম. এন্টারপ্রাইজ নামক দোকান ও হোসাইন এন্টারপ্রাইজ নামীয় দোকানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামী ১। মোঃ ইমরান (২৭), পিতা-মৃত ছবির আহাম্মদ, সাং-মোগলটুলি, থানা-ডবলমুরিং, জেলা- চট্টগ্রাম মহানগর, ২। মোঃ হোসাইন (২২), পিতা- মোঃ আব্দুর রশীদ, সাং- রাজাপুর, থানা- লাকসাম, জেলা- কুমিল্লা, বর্তমানে- রেলওয়ে কলোনী, থানা- খুলশী, চট্টগ্রাম মহানগরী এবং ৩। মোঃ বেলাল হোসেন টিপু (৩৩), পিতা মৃত- ছাবের আহমেদ, মাতা- রোকেয়া বেগম, সাং- সুপারী ওয়ালা পাড়া, শরীফ আলী সারং বাড়ী, ২৩ নং ওর্য়াড, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, থানা- ডবলমুরিং, চট্টগ্রাম মহানগরদের আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন ধরণের ভূয়া সনদপত্র তৈরির কথা স্বীকার করে। এছাড়া উক্ত দোকান তল্লাশি করে ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা পত্র, বিদ্যালয় পরিত্যাগ সনদ, পিইসি সার্টিফিকেট ফরম, ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন পরিষদ এর নাগরিক সনদ ইত্যাদি তৈরীর কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার পূর্বক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের ব্যবহৃত কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।