বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অর্জনের পাল্লা, সুনামের খাতা প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর অর্জনের আড়ালে, বিহাইন্ড দ্য সিনে অন্যতম প্রধান মাস্টারমাইন্ড যিনি তার দায়িত্বের জায়গা থেকে পুলিশ বাহিনীর জন্য সর্বোচ্চভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
একজন নেতা যেমন কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যান, একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে শিষ্যের কাছ থেকে সেরাটুকু বের করে নিয়ে আনেন একইভাবে তিনি জুনিয়র অফিসারদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে কাজ করিয়ে নেন।
শত বিপদে, প্রতিকূলতার মধ্যে যিনি বট গাছের ন্যায় আগলে রাখেন অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, সদস্যদের। বাংলাদেশ পুলিশের জীবন্ত কিংবদন্তী, ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমারত হোসেন গাজী। ফুলপুর উপজেলায় পরিবর্তনের যে হাওয়া, কাজের যে গতিশীলতা, সফলতা, সবকিছুর পেছনে ক্রেডিট এই মানুষটার।
নাগরিক সেবা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত স্যারের নির্দেশে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হচ্ছে।অটোরিকশা, মোটরসাইকেল আমাদের আশেপাশে প্রচুর বিদ্যমান। প্রায়শই নিউজে আমরা দেখতে পাই অটোরিকশা ছিনতাই, ছিনতাই করে হত্যা। আবার কখনো কখনো অটোরিকশা চালকের যোগসূত্রে এইসব অপকর্ম হয়। সচেতনতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অটোরিকশা মালিক, চালক, মোটরসাইকেল মালিকদের নিয়ে মিটিং করেন বিভিন্ন জায়গায়।
চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি করে স্বর্ণের মূল্যবান অলংকার অপরাধীরা বিভিন্ন জুয়েলারি দোকানে বিক্রি করে অল্প দামে। অপরাধীরা যেন এই কাজটা না করতে পারে আর তাই স্যারের নির্দেশে বিভিন্ন জুয়েলারি দোকানের মালিক, মার্কেটের মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।
বিভিন্ন মসজিদে মাদ্রাসায় সন্ত্রাসবাদের বিপরীতে আলোচনা করা। জঙ্গি তৎপরতা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য যে অনেক বড় অভিশাপ। জঙ্গি গোষ্ঠীর অপকর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা। যেন ভুল করেও এই পথে কেউ পা না বাড়ায়।
এমন অসংখ্য নির্দেশনা তিনি তৈরি করে অধীনস্থ অফিসারদের নিয়ে বাস্তবায়ন করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া সুপার হিরো আমাদের অভিভাবক, প্রিয় স্যার। যদি বলি একজন মানবিক অফিসার, যদি বলি একজন নিষ্ঠাবান অফিসার, যদি বলি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ, সব বিশেষণ স্যারের সঙ্গে মিশে আছে।সব সময় শুভ কামনা আর শ্রদ্ধা ভালোবাসা স্যার।