কুষ্টিয়া খোকসার বালি মহলের নামে এলাকার মাটি গিলে খাচ্ছে জাবেদ আলী মেম্বর নামে এক কতিপয় ব্যক্তি। ইজারা দেয়া হলো বালি মহলের অথচ লোভ সামলাতে না পেরে দিবালকে অবৈধভাবে মাটি কাটার মহা উৎসবে মেতে উঠেছেন মেম্বর জাবেদ আলী।
পেছনে কে বা কাহারা মদত দিচ্ছেন জানতে গিয়ে লাঞ্চিত হতে হয় সাংবাদিকদের। ক্ষমতা যখন পেয়ে বসেন কখন ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের সাহস হয়ে যায় তুঙ্গে। লাঞ্চিত হতে হয় তথ্য সংগ্রহকারীদের। ঠিক এমনি ঘটেছে কুষ্টিয়া খোকসা বেতবাড়ীয়া ইউনিয়ানে ভবানিপুর গ্রামে , কোমরভোগ, খালপাড়ায়। প্রশাসকের নাকের ডগায় বসে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতার নাম ভাংগিয়ে কুষ্টিয়া খোকসায় একের পর ঘটে চলেছে অবৈধ কার্যক্রম।
কুষ্টিয়ায় জেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সরকারী উজারা দিয়ে বালি বিক্রয় করা হচ্ছে। কিন্ত কিছু সুবিধাবাদী কপিয় ব্যক্তিরা এই সুযোগে স্থানীয় প্রশাসনের ও রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম ভাংগিয়ে কেটে নিচ্ছেন নদীর পারের মাটি।
বিশেষ সুত্র অনুযায়ী জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে সম্পুর্ণ দিবালকে বালি কাটার নামে ট্রলিতে ভরে মাটি কেটে নিচ্ছেন জাবেদ আলী মেম্বর নামক এক পতিপয় ব্যক্তি। সংবাদ সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা গেলে তাদের কে অশ্রীল ভাষায় গালাগালী করা হয়। এমনকি তারা বলেন যে, করোনা দেখেই ভয় পেলাম না ।
এই বিষয়ে খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজবাহ উদ্দিনের সাথে বলতে তিনি বলেন বিষয়টি আমি জানিনা তবে কেও যদি এটা কেউ থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিব।
এই বিষয়ে খোকসা উপজেলা ভূমি অফিসার ইসহাকের সাথে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এখনি লোক পাঠাচ্ছি বলে ফোন কেটে দেন।
এই বিষয়ে জাবেদ আলী মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন তিন মাস এর জন্য মাটি ও বালি কাটার ইজারা নেওয়া হয়েছে। সুত্র অনুযায়ী স্থানীয় এক কলা চাষী বাপ্পি হোসেন জানান এই বিষয়ে কিছু বলতে গেলে আমাদের কে প্রাণে মারা হুমকি দেয়, আর বলেন তোদের কে অবৈধ কিছু দিয়ে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিবো । তাই আমরা ভয়ে কিছু বলতে ও পারি না । এছাড়াও এলাকাবাসী আরো বলেন নদীর পাড়ের জায়গাতে আমরা গ্রামবাসী চাষ আবাদ করে আমারা সংসার চালাই আমরা ওই জায়গা টুকো আমরা হারাতে বসেছি । আমরা গ্রামবাসী, এভাবে সব হারিয়ে গেলে আমরা যাবো কোথায়? তারা আরোও বলেন সরকার আমাদের কে এই আবাষোনে থাকার মতম জায়গা দিয়ে ছিলেন ।
এই যদি হয় অবস্থা তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ হয়তো ভুলতে বসবে আসলে কোন বৈধ আর কোনটা অবৈধ।