কুষ্টিয়া খোকসায় এক সহজ সরল গ্রাম্য মেয়েকে পরকীয়ার লোভে বিবাহের ১১ বছর সংসারের পর সন্তানসহ স্ত্রীকে নির্যাতন করে তারিয়ে দিলেন আতিয়ার নামে এক এনজিও কর্মী।
ঘটনাটি খোকসা উপজেলার গোপগ্রামের জোতপারা গ্রামে। সুত্রে জানা যায়, আফসার উদ্দিনের ছেলে মোঃ আতিয়ার রহমান একই গ্রামের মেয়ে সীমা খাতুন, পিতা লুৎফার রহমান এর সাথে প্রায় ১১ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর ২০১৪ সালে পারিবারিক সম্মতি না পাওয়ায় পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। তখন তাদের অপ্রাপ্ত বয়স থাকায় আত্মগোপন করে থাকতে বাদ্ধ হন তারা। দীর্ঘ ৩/৪ বছর তারা ঢাকাতে অবস্থান করেন। এই সময় সীমা খাতুন একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টারি তে চাকুরী করতেন। কিন্ত পাষন্ড আতিয়ার তার স্ত্রীর সীমার ঘাড়ের উপর ভর করেই চলতেন। ঠিক তখন থেকে এই আতিয়ারের স্ত্রীর উপর ভর করে চলাটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়।
এরপর ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে দুটি পরিবারের সম্মতিক্রমে মাত্র ৫০ হাজার টাকায় দেনমোহর ধার্য্যে পূণরায় বিয়ে করেন তারা। তবে যৌতুক হিসেবে ছেলের বাবা আফসার উদ্দিন ২ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। তার কারণ হিসেবে সীমা খাতুন কে আবার সেই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ফিরে যেতে হয়।
এরপর আতিয়ার কর্মের জন্য পাড়িজমান বিদেশে তখনো স্ত্রী সীমার কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকায় নেন। কিন্তু অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার কারণে বেশি দিন থাকতে পারিনি বিদেশে। মাত্র ছয় মাস পর ফিরে আসতে হয় দেশের মাটিতে। ফিরে এসে (বট সমাজ সল্যান সমিতি) নামক স্থানীয় একটি এনজিওতে চাকুরীর সুযোগ পান আতিয়ার। কিন্তু সেখানে তাকে জামানত হিসেবে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। সেই টাকার মধ্যে ১ লক্ষ টাকা স্ত্রী সীমার কাছে দাবি করেণ। স্বামীর চাকুরীর কথা ভেবে সীমার পরিবারের লোক আতিয়ারকে একলক্ষ টাকা দেন। এরপর চলাচলের অসুবিধার কথা বলে একটি মোটর সাইকেল কিনতে গেলে সেখানেও স্ত্রী সীমার কাছ থেকে আরো ৫০ হাজার টাকা নেন পাষক স্বামী আতিয়ার।
এরপর তাদের কোলজুড়ে একটি কণ্যা সন্তান আসে। কিন্তু আতিয়ারের পরিবারের লোভের তান্ডবে মাত্র ৪০ দিনের বাচ্চা কে রেখে ফিরেযান সেই গার্মেন্টস ফ্যাক্টারিতে। সেখান থেকে মাত্রীকালীন ভাতা বাবদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে এসে তুলে দেন শশুর আফসারের হাতে। এই সব কিছুর মধ্যে থেকে আতিয়ারের পরকীয়া চলতো অভিনব কায়দায়। যখন আয়ের উৎস হিসেবে স্ত্রী সীমাকে ব্যবহার করতো তখন সীমা তার স্বামীর চালানো নির্যাতন গুলো নিরবে সজ্য করতো। মনে করতো হয়তো একদিন তা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্ত বর্তমানে আর কোন সুবিধা না দিতে পারায় নরপেষক স্বামী আতিয়ার ও তার পরিবারেরে নির্যাতন সজ্য করতে না পেরে ৩ বছরের কণ্যাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। এখন এই মেয়েটির কি হবে? বাপ থেকেও যেন নেই শিশুটির। নিজের সর্বস্ব হারিয়ে এখন সর্বহারা হয়ে ছোট শিশুটিকে নিয়ে লোকের দারে দারে ঘুড়ছে ন্যায় বিচারের জন্য।