সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে নড়াইল পৌরসভা গঠিত হয়। ২২বর্গ কিলোমিটার আয়োতনের এই পৌরসভাটি দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে প্র থম শ্রেণীতে উন্নীত হয়। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নড়াইল পৌরসভায় ২০১১ সাল ছাড়া সমস্ত পৌর নির্বাচনেই আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
২০১১ সালে পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জয়লাভ করেন। এবারের পৌর নির্বাচনে অপর দু’ মেয়র প্রার্থী হলেন সাবেক মেয়র বিএনপি মনোনীত জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী এবং ইসলামী আন্দোলনের মাওঃ খায়রুজ্জামান।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা নৌকা এবং ধানের শীষ প্রতিকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আ’লীগ মনোনীত মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আনজুমান আরা মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত, পৌর এলাকায় প্রশস্ত রাস্তা, যানজটমুক্ত শহর, বর্জ্য ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, সুপেয় পানি, সহনীয় মাত্রায় পৌর ট্যাক্সসহ একটি মাস্টার প্লান অনুযায়ী একটি মডেল পৌরসভার আশ্বাস দিয়েছেন।
বিএনপি প্রার্থী জুলফিকার আলী নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদি মন্তব্য করে বলেন, তিনি পূনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে ২৫ বছরের পরিকল্পনা করে যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজ করবেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, আমরা আমাদের নিজস্ব কৌশলে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। বিরোধী পক্ষ থেকে কোনো প্রকার ভয়-ভীতি বা কোনো বাঁধা না থাকলেও নির্বাচনের আগের রাতে ভোট কারচুপি বা নির্বাচনের দিন সহিংসা বা ভোটদানে বাঁধা দেওয়া হতে পারে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল পৌরসভায় সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ ও সাধারণ পদে ৩৯জন নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। আগামি ৩০ জানুয়ারী নড়াইল পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নড়াইল পৌরসভায় এবার মোট ভোট কেন্দ্র ১৪টি এবং ভোটারের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৭১৭জন।