ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ২নং রামভদ্রপুর ইউনিয়ন এর রামভদ্রপুর গুচ্ছ গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় জনৈক এক ব্যক্তি একজন অজ্ঞাত ছেলেকে অজ্ঞান অবস্থায় সরিষা ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে।
পরে বিষয়টি এলাকার বড়দের সাথে শেয়ার করে।তারা তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় নিশ্চিত করতে নাহ পেরে গতকাল ৮ই জানুয়ারি ছবি দিয়ে অনলাইন প্লাটফর্ম ফুলপুর হেল্পজোন এ পরিচয় জানতে চাওয়ার জন্য পোষ্ট করেন।
তিনি নিশ্চিত করেন ছেলেটির চোখে প্রচুর ঘুম/মাতাল অবস্থার জন্য কথা ক্লিয়ার বলতে পারেন না। উক্ত বিষয়টিকে আমলে নিয়ে ফুলপুর হেল্পজোন এডমিন প্যানেল ফুলপুরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ চালায়।তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় নিশ্চিত নাহ করতে পেরে ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব ইমারত হোসেন গাজী স্যারকে অবহিত করে। এবং সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি উক্ত ঘটনাটি অামলে নিয়ে ডিউটি অফিসারকে ফুলপুর হেল্পজোনের সঙ্গে দেন। ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার জন্য। পরে ঐ এলাকার চেয়ারম্যান এর কাছে ফুলপুর হেল্পজোনের এডমিন মহোদয়গন মুঠোফোনে কথা বলে জানতে পারেন তিনি কিছু লোক মারফত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। দ্রুত হাসপাতালে অবস্থান নেয় ফুলপুর এডমিন প্যানেলের দায়িত্বে থাকা এডমিন গন।রোগীকে রিসিভ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিছুটা জ্ঞান ফিরলে পরিচয় জানতে চাওয়া হলে তিনি সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে ব্যার্থ হন।পরে অনুমান এর উপর ভিত্তি করে ঐ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ঘটনা সত্য। তারাও ছেলেটিকে খুঁজছিলেন।পরে তাদের দ্রুত হাসপাতালে অাসার জন্য বলা হয়।ঘন্টা দুই খানেক এর মধ্যে হাসপাতাল পরিনত হয় আবেগঘন মুহূর্তে।
ছেলের ঠিকানাঃতারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের নগুয়া/বটতলা গ্রামে।
নামঃইয়ামিন
পিতার নামঃহাতেম আলী।
তিনি গতকাল ৮ই জানুয়ারি সকালে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন।ছেলেটি অটো ভাড়ায় চালাতো।এবং সে একটি রিজার্ভ ট্রিপ নিয়ে ঐ এলাকায় কাচামালের জন্য যায়। পরিবারও তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে ব্যার্থ হয়ে পড়েছে।
আজ ৯ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে তার বাবা মোঃ হাতেম আলী (৪০)এর কাছে ফুলপুর হেল্পজোন,হাসপাতালে ডিউটি রত ডাক্তার ও ফুলপুর থানা পুলিশ এর সমন্বয় এ হস্তান্তর করা হয়।ছেলের বাবা মোঃ হাতেম আলী ছেলেকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত। এবং সামনে যেনো এমন ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য সজাগ থাকবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন।
এবিষয়ে ফুলপুর হেল্পজোন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে এডমিন প্যানেল থেকে বিবৃতি দেন,”আমরা আমাদের সাধ্য মত চেষ্টা করছিলাম।এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুজনকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে সত্যিই অানন্দিত অামরা। তবে পরিশেষে ছেলের পরিবারের কাছে পৌঁছাতে সহযোগিতা করতে পেরে ভালো লাগছে। “
শুধু তাই নয় ফুলপুর হেল্পজোন উপজেলার জনসাধারণের বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অংশ গ্রহণ করে বেশ সুনাম অর্জণ করছে। করোনার মহমারির সময়কালীন তাদের তাদের কর্ম তৎপরতা ছিল চোখে পরার মত।তারা ফুলপুরে অসহায় মানুষদের জন্য রক্তেরও ব্যবস্থা করে অাসছে দীর্ঘদিন ধরে।ফুলপুর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগীতার কারণে ময়মনসিংহ জেলায় তারা প্রশংসার শীর্ষে বলে মনে করেন উপজেলার সচেতন মহল।এবং তাদের উত্তর উত্তর বৃদ্ধি কামনা করেন।