কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে রাত ২টার সময় শ্লীলতাহানির অভিযোগে সোহান নামের এক ছাত্রের তোমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
জানা যায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে কল্যাণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী পিকনিক শেষে তার ঘরে ঘুমাতে যায়। আনুমানিক রাত ২টার দিকে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামের ঘোষপাড়ার মোফাজ্জেল খাঁর ছেলে সোহান খাঁ তাকে মোবাইল ফোনে ঘরের বাইরে বের হতে বললে সে প্রথমে রাজী না হলেও পরবর্তীতে বের হয়ে সোহানের সাথে তাদের বাঁশঝাড়ের নীচে গিয়ে দেখা করে। এসময় সোহান তার হাত ধরে সাথে যেতে বলে বিয়ে করার জন্য কিন্তু সে রাজী না হওয়ায় কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার চাচারা ঘটনাস্থলে এসে সোহানকে ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। রাত থেকে পরেরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকে রাখার পর কুমারখালী থানার পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এবং দফায় দফায় ঐ ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে নিউজে উল্লেখকৃত কথাগুলোর পুনরাবৃত্তি করে।
হতদরিদ্র ছাত্রীর বাড়িতে ছেলেটিকে আটকে রাখা অবস্থায় এলাকার কিছু ধান্দাবাজ বিষয়টি এক লক্ষ টাকায় রফা করার চেষ্টা করে। কিন্তু ছেলে পক্ষ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা আটকে রাখার পর কুমারখালী থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে এবং সোহানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়।