রক্তদানে এগিয়ে মেয়েরা! খালার সরনে ভাগনির রক্তদান।

পবিত্র কুরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াত (একজন মানুষের জীবন রক্ষা করা সমগ্র মানবজাতির জীবন রক্ষা করার মতো মহান কাজ)

ছবি: ভোরের আলো ডেস্ক

এই মহান বাণীকে মনে-প্রাণে ধারণ করে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিজের খালার মৃত্যু বার্ষিকীতে মুমূর্ষু এক বৃদ্ধ চাচাকে সুস্থতার সহিত বেঁচে ওঠতে রক্ত দিয়ে সহায়তার মনোভাবে পাশে দাঁড়ালেন রক্তসৈনিক নকলা টিমের সক্রিয় সদস্য জান্নাত।

এ সময় রক্তসৈনিক নকলার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্লাড ব্যাংক অফ নকলার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-আমিনসহ উক্ত সেচ্ছাসেবী সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্য ও শুভাকাঙ্খীগণ উপস্থিত ছিলেন।

রক্তসৈনিক জান্নাত বলেন, এই নশ্বর দুনিয়া থেকে মহান আল্লাহ তাআ’লার ডাকে একদিন আমি আপনি আল্লাহর ডাকে চলে যাবো তখন আমাদের শরীরটা মাটিতে মিশে যাবে বা শরীরের সকল অঙ্গ-পতঙ্গ পোকামাকড়ে খাবে। তখন আর আমাদের শরীরের কোন মূল্য থাকবে না, তাই নিজের শরীরের রক্তদিয়ে যদি অন্য একজন মানুষ স্বাভাবিক জীবন পায় তাতে আমি মনে করি আমার মূল্যহীন শরীরটা মূল্যবান হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন,আমি ছোট বেলায় মাকে হারিয়ে খালার কাছে বড় হয়েছি মার অভাব একটা বারের জন্যও খালা আমায় বুঝতে দেয়নি, অতঃপর গত এক বছর আগে মহান আল্লাহর ডাকে তিনিও আমায় ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তাই, আমার খালার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় আমি এক বৃদ্ধ বাবাকে সুস্হতার সহিত বেঁচে উঠতে সেচ্ছায় রক্তদান করি এবং যতদিন বেঁচে থাকবো মানবনার কল্যাণের লক্ষ্যেই সারাজীবন সাধ্যমত পাশে থাকবো,ইনশাআল্লাহ্।