কুষ্টিয়া জেলার ২১টি বালুমহাল থেকে প্রতিনিয়তই সরকারি নিষেধাজ্ঞা অম্যান্য করে স্যালো ইঞ্জিন চালিত ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে নদীর ভূগর্ভস্থ থেকে কোটি টাকার বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। সর্ব মহলে হাদিয়া দিয়ে চলছে ব্যবসা!
এতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। আবার এই বালুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে চাঁদাবাজীর মহা-উৎসব।
বালু ভর্তি ট্রলার ও ট্রাক থেকে প্রতিনিয়তই তোলা হচ্ছে চাঁদা। এমনকি অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালুর চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়তই হয় অস্ত্রের মোহড়া। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালীদের মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়েই উত্তোলন করে বালু। এ যেনো অবৈধকে বৈধ করার সঠিক পন্থা। শুধু উত্তোলনেই টাকা দিয়েই রেহাই পায় না এই সকল অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা।
প্রভাবশালীদের দিতে হয় নৌকাপ্রতি এক হাজার ও ট্রলিপ্রতি দুই হাজার টাকার পরিমাণ চাঁদা। আবার শুধু চাঁদা দিলেই হয় না। দিতে হয় নদীপথের চ্যালেঞ্জ চার্জ। সব মিলিয়ে বালু ভর্তি একটি নৌকা ও ট্রলিপ্রতি নেওয়া হয় ৩/৪ হাজার টাকা। আর এই অর্থগুলো ভাগ-বাটোয়ারা হয় স্থাণীয় প্রভাবশালীদের মধ্যে।
এভাবেই কুষ্টিয়ার ২১টি বালুমহালে উত্তালন করা হচ্ছে অবৈধ বালু। সাথে চলছে সমানতালে চাঁদাবাজি। আর এই চাঁদার টাকা প্রভাবশালী মহল থেকে শুরু করে সব মহলের কাছে পৌছে যাচ্ছে লোকোচক্ষুর আড়ালে। ফলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা পেয়ে যাচ্ছে বালু উত্তোলনের বৈধতা। আর চাঁদাবাজরা পাচ্ছে চাঁদাবাজির বৈধ লাইসেন্স। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বালু ব্যবসায়ী জানায়, আমরা বালু উত্তোলন করি, কথাটি সত্য। কিন্তু এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পেছনে অনেক প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। আমরা তাদের টাকা দিয়েই বালু উত্তোলন করি।
এ বিষয়ে এক ট্রলার মালিক জানায়, বালু উত্তোলনের পর গন্তব্যে পৌছাতে প্রতিটি ট্রলারকেই নিদিষ্টহারে চাঁদা করতে হয়। চাঁদা না দিলে বালু ভর্তি ট্রলারগুলো আটকে দেওয়া হয়। এমনকি এ সময় অস্ত্রের মোহড়াও চলে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি।