নড়াইলর কালিয়ায় বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে মোসাঃ সুমি খানম (১৩) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী।আজ সোমবার ২১ (ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টার দিকে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নাজমুল হুদার নেতৃত্বে ভ্রাম্মমান আদালাত পরিচালনা করে ওই ছাত্রীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেন।পন্ড করে দেন বিয়ের সকল আয়োজন।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন বর এবং মেয়ের গার্জিয়ান বাল্য বিবাহ করতে আসা বর কে না পেয়ে বিয়ে করতে আসা বর এর গার্জিয়ান চাচা ও চাচাতো ভাইকে আটক করা হয় এবং বাল্য বিবাহ করতে আসার অপরাধে বর এর চাচা আহাদ শেখ (৩৮) পিতাঃ সানামিয়া এবং চাচাতো ভাই সোহেল খান (৩৫) পিতাঃখান আজাদ আলী গ্রাম সিমানন্দপুর উপজেলাঃ কালিয়া জেলাঃ নড়াইল উভয়কে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী মাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদা।
জানা গেছে ধূষাহাটি গ্রামের ইখালাজ মৃধার মেয়ে মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মোসাঃ সুমি খানমের সোমবার বিয়ের দিন ধার্য্য করা করা হয় একই উপজেলার সিমান্দপুর গ্রামের হান্নান শেখ এর ছেলে মেহেদী (২৩) এর সাথে বিয়ের আয়োজন করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে হানা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সাংবাদিকগন বর এর চাচা এবং চাচাতো ভাইকে বাল্যবিবাহ করতে আসার কারন এ এই দন্ডাদেশ দেয়া হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন গোপন সংবাদ এর ভিত্তি তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে বর এবং কনের বাবা পলাতক থাকায় বর এর চাচা এবং চাচাতো ভাই উভয়কে জরিমানা করা হয়েছে তিনি আরো বলেন ভবিষৎ এ ধারনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।