হবিগঞ্জে চুনারুঘাটে সিএনজি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের হয়রানী

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সিএনজি চালকদের দৌরাত্ম সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কোনো রকম আইন-কানুনের তোয়াক্কা তারা করে না। তাদের কমন বাহানা বলতে গেলেই ধরে অজুহাত। একটা না একটা বাহানা তাদের লেগেই আছে। এর যেন অন্ত নাই!

ছবি: সিএনজি ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের হয়রানী

চুনারুঘাট টু শায়েস্তাগঞ্জে সিএনজি ভাড়া ২০টাকা, রাত ৯টার পরেই ভাড়া নেন ৪০-৫০টাকা, চুনারুঘাট টু আসামপাড়ায় সিএনজি ভাড়া ৩০টাকা, রাত ৯টার পরেই ভাড়া নেন ৫০-৬০টাকা,চুনারুঘাট টু কালেঙ্গায় সিএনজি ভাড়া ৬০টাকা, রাত ৯টার পরেই ভাড়া নেন ৮০-১০০ টাকা, চুনারুঘাট টু রানীগাঁওয়ে সিএনজি ভাড়া ২০টাকা, রাত ৯টার পরেই ভাড়া নেন ৪০-৫০ টাকা, চুনারুঘাট টু নালমুখ বাজারে সিএনজি ভাড়া ২০টাকা, রাত ৯টার পরেই ভাড়া নেন ৪০-৫০ টাকা, চুনারুঘাট টু সতং বাজার সিএনজি ভাড়া ১৫টাকা, রাত ৯টার পরেই ভাড়া নেন ৩৫-৫০ টাকা আদায় করেছেন।

কিন্তু চুনারুঘাট টু মাধবপুর রোডে সন্ধ্যার পর পরেই সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ রোডে সিএনজি ভাড়া নেয় ৬০টাকা। রাত যত হবে, ততই বাড়বে সিএনজি ভাড়া। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী যাত্রীসাধারণের।

শুধু কি তাই, প্রতিনিয়তই ভাড়া নিয়ে যাত্রীসাধারণের সাথে সিএনজি চালকদের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে থাকে। কেউ কিছু বলতে গেলেই উল্টো দোষ চাপিয়ে দেয় যাত্রীদের ওপর। চালকদের এমন আচরণের প্রতিবাদ করলে চালকরা সিএনজি চলাচল বন্ধ করে রাজপথে প্রতিবাদে জড়ো হন। তখন ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীগণ।

জুয়েল মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি এক বিয়ে থেকে মৌলভীবাজার থেকে শায়েস্তাগঞ্জে রাত ১টা চুনারুঘাটের উদ্দেশ্যে সিএনজিতে উঠলে ৬০ টাকা ভাড়া নেন। কি আর করা, তাদের সাথে তো ঝগড়া করে কোনো লাভ নেই! সিএনজি ভাড়া ৬০ টাকাই দিলাম।

সিএনজি চালক জাবেদ মিয়া বলেন, আমরা রাত ৯টা -১০টার পর সিএনজি ভাড়া একটু বেশিই নেই। কারণ তখন যাত্রী কম থাকে ২-৩জন নিয়ে চলাচল করতে হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সত্যজিত রায় দাশ বলেন, সিএনজি ভাড়া বাড়তি নেওয়ার এমন অভিযোগ অনেক শুনেছি। তাই চুনারুঘাট সিএনজি মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে সিএনজি ভাড়া পূর্ণরায় নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানান।