স্বাস্থ্য সহকারীরা চার দফা দাবিতে ১৭তম কর্মবিরতি টিকাদান কর্মসূচি (এক্সপান্ডেন্ট প্রোগ্রাম অন ইমোনাইজেশন-ইপিআই) বন্ধ।
এতে দেশের মা ও শিশুরা অপরিহার্য টিকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মবিরতির কারণে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সারা দেশের সেবাপ্রত্যাশীরা।
শিশুকে টিকা না দিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে কেন্দ্র থেকে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় একযোগে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। ‘বেশ কিছু দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব ওয়াসিম উদ্দিন রানা বলেন, ‘সারা দেশে স্থায়ী-অস্থায়ী ৪০ হাজার কেন্দ্র আছে। এসব কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারীরা প্রায় ৪০ বছর ধরে ১৬তম গ্রেডে চাকরি করে আসছেন। আমরা চাই নিয়োগবিধি সংশোধন করে ক্রমানুসারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৬তম থেকে যথাক্রমে ১১, ১২, ও ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করতে। ’ তিনি বলেন, আমরা চাই না আন্দোলনের কারণে ইপিআই কর্মসূচি বন্ধ থাকুক। কারণ এর সঙ্গে আগামীর ভবিষ্যৎ শিশুদের সম্পর্ক। আমরা চাই, দ্রুত দাবি পূরণের মাধ্যমে কাজে ফিরে যেতে।
জানা যায়, শিশুদের সংক্রামক রোগগুলোর বিরুদ্ধে টিকাদানের মাধ্যমে শিশু মৃত্যুহার কমানোর লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইপিআই কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।
১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশে দুই বছরের কম বয়সী সব শিশুর বহুল পরিচালিত সংক্রামক রোগ যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, হাম, পোলিও-মাইটিসসহ টিকা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া ২০০৩ সাল থেকে মা ও নবজাতকের ধনুস্টংকার রোধে হেপাটাইটিস রোগের টিকা, ২০০৯ সাল থেকে হিমোফাইলাস রোগের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে নিউমোনিয়ার (ফুসফুস প্রদাহ) টিকা দেওয়া হচ্ছে। ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুরা অনেক সংক্রামক রোগ থেকে নিরাপদ থাকে বলে জানা যায়।