সাতক্ষীরায় পরকিয়ার জেরে অন্তঃস্বত্তা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার(২৫নভেম্বর) জেলার সদর উপজেলার রাজ নগর গ্রামে। নিহত নারী পারভীন আক্তার (২৫)সে ঐ এলাকার আব্দুল খালেকের স্ত্রী ও একই গ্রামের আব্দুর রহিম বাবুর মেয়ে। এই ঘটনার পর বিক্ষুুব্ধ জনতা স্বামী খালেকে আটকে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় ও স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের দুই ভাই রফিকুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম জানান, আমাদের বোন পারভিন আক্তারের সঙ্গে হাজীপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে ভাটা শ্রমিক আব্দুল খালেকের আট বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে ফারজানা নামে তাদের ঘরে ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে । বোন পারভিন বর্তমানে ৭ মাসের অন্তঃস্বত্বা। অভাবের কারণে তারা তিন বছর যাবৎ জামাইপাড়া এলাকার নদীর চরভরাটি জমিতে বসবাস করত । সম্প্রতি খালেক একই এলাকার এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বেশকিছুদিন যাবৎ তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে আজ ভোর রাতের কোন এক সময় পারভিনকে শারিরিক নির্যাতনের পর তার স্বামী তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার শরীরে কাঁথা চাপা দিয়ে বাইরের দিক থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে পার্শ্ববর্তী ভাটপাড়া এলাকার একটি ইটভাটায় কাজ করতে যান।
আজ সকালে তাদের মেয়ে ফারজানার কান্না শুনে স্থানীয়রা বাইরের দিক থেকে তালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। এ সময় পারভিনকে কাঁথা মোড়ানো মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে ঘটনাস্থলে তারা গিয়ে দেখেন তার বোনের গলায় দড়ির চিহ্নও রয়েছে। যা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা হয়েছে। তারা আরো জানান, বিক্ষুদ্ধ জনতা এ সময় ওই ইটভাটা থেকে তার স্বামী খালেককে ধরে এনে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, বুধবার দুপুরে পারিভন আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী আব্দুল খালেককে আটক করা হয়েছে। রিপোট লেখা পর্যান্ত এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দ্বায়েরের প্রস্ততি চলছিল।